এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলাকে “কৃতজ্ঞতা” জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে নভেম্বরের শেষেই ভোটের দামামা বিজেপির?

বাংলাকে “কৃতজ্ঞতা” জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে নভেম্বরের শেষেই ভোটের দামামা বিজেপির?

মানুষ সাফল্য পেলে তাদের আশা আরও বেড়ে যায়। বাংলায় বিজেপির ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে ও তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে বাংলার 42 টি আসনের মধ্যে 18 টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছে গেরুয়া শিবির। যার পরে বিজেপি নেতাদের মুখে বারেবারেই শোনা গেছে আত্যপ্রত্যয়ের কথা।

আগামী বিধানসভা নির্বাচন তাদের কাছে ফাইনাল ম্যাচ হলেও তার আগে কলকাতা সহ রাজ্যের শ’খানেকের বেশি পৌরসভা ভোটে নিজেদের জনমত যাচাই করে নিতে চাইছে রাজ্যের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। আর তাই তো সেই নির্বাচনের আগে নিজেদের সমর্থনকে আরও বাড়িয়ে নিতে বাংলাতেও মোদি ম্যাজিককে কাজে লাগাতে চায় মুরলীধর লেনের কর্তারা।

সূত্রের খবর, সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী নভেম্বর মাসের শেষে কলকাতার ব্রিগেডে একটি জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর যদি প্রধানমন্ত্রী পৌরসভা ভোটের আগে এই জনসভা করেন, তাহলে বিজেপির পক্ষে রাজ্যে যে আরও বিপুল জনপ্রিয়তা আসতে পারে, সেই ব্যাপারে কিছুটা হলেও নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, সম্প্রতি বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে আগামী ফেব্রুয়ারীতে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ব্রিগেডে একটি সভা করার প্রস্তাব দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ। আর এরপরই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করে নেয় যে, প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে এই সভা হবে। কিন্তু তা ফেব্রুয়ারীতে নয়, নভেম্বরেই সেই সভা করানো হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, এর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময় একই দিনে প্রথমে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে সভা করে সেদিনই কলকাতা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে সভার পর রাজ্যে বিজেপির 18 টি আসন পাওয়া আরো অনেকটাই সুবিধার হয়ে গিয়েছিল। ফলে এবার পৌরসভা নির্বাচনগুলিতে রাজ্যের সিংহভাগ পৌরসভা জাতি দখল করা যায় তার জন্যই নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ব্রিগেডের সভা করাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “শিবপ্রকাশজীর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে আমি ছিলাম না। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বাংলা সফর সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। তবে রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ দিতে খুব তাড়াতাড়ি প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় আসবেন।” কিন্তু যেখানে বিজেপি তাদের দলীয় নেতাদের যে কোনো সভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লোক আটকে দেওয়ার অভিযোগ করেন, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা করানো হলেও তাতে কি লোক পড়াতে পারবে গেরুয়া শিবির!

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির একাংশ বলেন, “লোকসভা ভোটের সময় মাত্র 15 দিনের প্রস্তুতিতে আমরা ব্রিগেড করেছিলাম। শিলিগুড়িতে সভা থাকার জন্য তখন উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মী-সমর্থকদের আনা যায়নি। তাতেও কলকাতার ব্রিগেড সফল হয়েছিল। বর্তমানে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আয়োজনে কোনো সমস্যা নেই। আমরা কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছি।” সব মিলিয়ে এবার পৌরসভা নির্বাচনের আগে ঠিক কবে বাংলায় আসেন প্রধানমন্ত্রী, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!