এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভাইয়ের গ্রেপ্তারি না মানতে পেরে তৃণমূল-বিজেপকে একযোগে আক্রমণ আব্বাসের, পাশে নেই কংগ্রেস ও বাম

ভাইয়ের গ্রেপ্তারি না মানতে পেরে তৃণমূল-বিজেপকে একযোগে আক্রমণ আব্বাসের, পাশে নেই কংগ্রেস ও বাম


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আত্মপ্রকাশ করেছিল আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের, যার অন্যতম প্রধান নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। রাজনীতিতে আসার সাথে সাথেই বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট এবং তৈরি হয় সংযুক্ত মোর্চা। কিন্তু নির্বাচনের ফলে দেখা যায় বাম এবং কংগ্রেস শূন্যে পৌঁছে গিয়েছে। শুধুমাত্র একটি আসন দখল করেছে আইএসএফ এবং সেই আসনটি গিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকীর ভাই নওশাদ সিদ্দিকীর ঝুলিতে। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর বাম এবং কংগ্রেসের সাথে আইএসএফকে আর দেখা যায়নি। কিন্তু আজকে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নওশাদ সিদ্দিকী পুলিশের হহাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী।

ভোট-পরবর্তী হিংসার কারণে শনিবার দুপুরে কলকাতার ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ জানাতে হাজির হয়েছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী তাঁর 10 জন দলীয় সদস্যকে নিয়ে। আর সেখানেই তিনি কলকাতা পুলিশের হাতে আটক হন। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এত সহজে ছাড়তে রাজি নয় আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী। তাঁর ভাইকে আটক করার কারণে এবার বিজেপি এবং তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করলেন তিনি। তাঁর মতে বিজেপি বিরোধী কোন আন্দোলন করলেই সাথে সাথে তৃণমূল সরকার বিরোধিতা করে।

তিনি দাবি করেন এনআরসি, এনপিআর এবং সিএএ বিরোধী আন্দোলন যখন চলছিল তখনও আন্দোলনকারীদের হেনস্থা করেছিল তৃণমূল সরকারের পুলিশ। অন্যদিকে আব্বাসের অভিযোগকে মোটে পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি হাড়োয়ার বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আব্বাস সিদ্দিকীর কথার কোন গুরুত্ব তাঁরা দিতে রাজি নন। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই সারা বাংলার মানুষ দেখেছে। একই সাথে তিনি জানান, আন্দোলন করার আগে পুলিশ ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে করতে হয়। করোনা অতিমারীর সময় সব কিছুর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু নওশাদ সিদ্দিকী কোনরকম অনুমতি না নিয়েই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন শুরু করেন। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয় কলকাতা পুলিশ। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারও আব্বাস সিদ্দিকীর কথায় প্রায় তৃণমূলের অনুরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আব্বাস সিদ্দিকী কোনো গ্রহণযোগ্যতা যে নেই তা নির্বাচনের ফলাফলেই প্রকাশ হয়েছে বলে কটাক্ষ করেন জয়প্রকাশবাবু। একই সাথে আব্বাস সিদ্দিকীকে তৃণমূলের সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেক্ষেত্রে তিনি বলেন, তৃণমূলের কাছে ধাক্কা পাওয়ার পর বিজেপিকে আক্রমণ করতে ময়দানে নেমেছে আব্বাস।

অন্যদিকে উল্লেখযোগ্যভাবে আব্বাস সিদ্দিকীর পাশে কিন্তু কোন বাম নেতা বা কোন কংগ্রেস নেতাকে পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে সংযুক্ত মোর্চা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের শূন্য হয়ে যাওয়া, পাশাপাশি আইএসএফ প্রথম লড়াইয়ে নেমে একটি আসনের দখলদারি হওয়া কার্যত সংযুক্ত মোর্চার সম্পর্কে চিড় ধরিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আব্বাস সিদ্দিকী এই মুহূর্তে যে রাজনৈতিক ময়দানে একা, সে ব্যাপারে কোনো দ্বিমত রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!