এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কি বড়সড় পদক্ষেপ আসতে চলেছে? স্বয়ং উপরাষ্ট্রপতির কথায় জল্পনা!

ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কি বড়সড় পদক্ষেপ আসতে চলেছে? স্বয়ং উপরাষ্ট্রপতির কথায় জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –আঠারো শতকের শিল্প বিপ্লবের সময় ইউরোপের দেশ গুলিতে বাড়তে থাকা জনসংখ্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানী টমাস ম্যাককোইন প্রথম পপুলেশন বা জনসংখ্যা একটা দেশের পক্ষে কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে ভৌগোলিক ক্ষেত্রে জনসংখ্যা বা পপুলেশনের গুরুত্ব একটি দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সমস্ত দিক থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধি স্বভাবতই সেই দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে কোথাও না কোথাও প্রভাবিত করে। সম্প্রতি সারা বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ বলা হয়। ১৮০০ সালে যা ছিল ১ বিলিয়ন, ২০১৩ সালে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৬ বিলিয়ন। তাহলেই বোঝা যায়, জনসংখ্যা কিভাবে তার প্রসার লাভ করেছে।

দেশে এর প্রভাব সম্পর্কে বলতে গেলে অনেকগুলি কারণ উঠে আসে।
১) দারিদ্র্য:- বর্তমান ভারতে যেখানে সমগ্র মানুষের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ বাস করে দারিদ্র্য সীমার নিচে। কারণ দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো এত বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে এখনো পুরোপুরি কার্যকর নয়।

২) কর্মসংস্থানের অভাব:- প্রতিটা দেশের পরিকাঠামো অনুসারে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবার ক্ষমতা থাকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পায়।

৩) সামাজিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা:- জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সমাজের যে একটা পরিকাঠামো থাকে তার ওপর প্রভাব পড়ে। ফলে সেই পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

৪)ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা জনিত সমস্যা:- প্রতিটা দেশেরই একটি ভৌগোলিক পরিধি থাকে এবং সেই অনুযায়ী একটি দেশে মোটামুটি কত সংখ্যক মানুষ নিজেদের সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে পারে তার একটি কল্পনা করে নেওয়া হয়। তবে তার থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের জায়গা তৈরি করতে গেলে স্বাভাবিকভাবে ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এছাড়াও পরিবেশগত দিক থেকে, শিক্ষাগত দিক থেকে এবং সামাজিক উন্নয়নের দিক থেকেও আসে অনেক রকমের বাধা। চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি একটি গবেষণার মাধ্যমের তরফ থেকে জানা গিয়েছিল সেদিন ভারতে প্রায় ৭০ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করে। যেখানে সেদিন চীনে শিশু জন্ম গ্রহণের হার ছিল প্রায় এর অর্ধেক। তাই এই পরিস্থিতিতে আমাদের সরকারের এখনই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ না নিলে নয়।

ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে অনেক দিন আগেই সুপ্রিমকোর্টে এই নিয়ে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। এই মাসে যার শুনানিও হয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে জনসংখ্যার বৃদ্ধি রুখতে যে পদক্ষেপ গুলি নেওয়া যেতে পারে তাতে প্রথমেই আসে জনসচেতনতার কথা। সবার প্রথম জনগণের মধ্যে তৈরি করে দিতে হবে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সর্তকতা। কারণ প্রতিটা মানুষ যদি প্রথম থেকেই সচেতন হন, তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে তাদের শিশুরাই পরবর্তীকালে পাবেন সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ। যেখানে সরকারিভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক চাহিদাগুলোকে আরো ভালো করে পূরণ করার জন্য প্রয়াস করা সম্ভব হবে। ভারতের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে তাই বর্তমান সরকার স্বভাবতই খুব শীঘ্র কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন বলেই অনুমান করছেন বিশিষ্টজনেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!