এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অপরাধে ফেলে পেটানো হলো অধ্যাপক-গবেষকদের! অভিযোগের তীর তৃনমূলের দিকে

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অপরাধে ফেলে পেটানো হলো অধ্যাপক-গবেষকদের! অভিযোগের তীর তৃনমূলের দিকে


ফের শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য। এবার উত্তরবঙ্গের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মাঝিয়ান কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে অধ্যাপক, গবেষক এবং কর্মীদের মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যে ঘটনা আরও একবার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছে। কিন্তু কেন হঠাৎ এইভাবে সমাজ গড়ার কারিগরদের তৃণমূলের প্রহারের শিকার হতে হল!

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। আর এই অনুষ্ঠান শেষে এই কলেজের বিজ্ঞানী, গবেষক অধ্যাপক এবং কর্মীদের অনেকে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান।

যাদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন সুকান্তবাবু। এদিকে এই ঘটনার পরই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেই কলেজ গেটে এসে সেখানকার অধ্যাপক এবং কর্মীদের ওপর ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। তাহলে কি বিজেপি সাংসদের হাত ধরে এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস বালুরঘাটের মাঝিয়ানের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক, কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোয় তাদের তৃণমূলের রোষের শিকার হতে হল!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মাঝিয়ান কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের অধ্যাপক জয়ন্ত দত্ত বলেন, “একটি অনুষ্ঠানে এদিন সাংসদ ছিলেন। তারপর সেখানে অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করেন। সাংসদ বেরিয়ে যাওয়ার পরেই কিছু বহিরাগত যুবক ক্যাম্পাসে ঢুকে অধ্যাপক এবং কর্মীদের উপর মারধর করে। তারা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমরা কলেজের ইনচার্জকে গোটা বিষয়টা জানিয়েছি। অনেকেই ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছে না।”

অন্যদিকে এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি নিজে একজন অধ্যাপক হওয়ার সুবাদে কৃষি কলেজের অধ্যাপক এবং বিজ্ঞানীরা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে আমাকে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর কলেজের অধ্যাপক, বিজ্ঞানী এবং কর্মী মিলিয়ে কুড়ি জন বিজেপিতে যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে আমি তাদেরকে বিজেপি দলের সদস্য করি। আর আমি কলেজ থেকে বেরিয়ে আসতেই তৃণমূল কর্মীরা সেখানে ঢুকে অধ্যাপক, বিজ্ঞানীদের মারধর গালাগালি এবং হুমকি দেয়। আমি এই গোটা ঘটনা শুনে জেলার পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছি।”

এদিকে এইভাবে অধ্যাপককে মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের নাম জড়ানোয় এদিন এই ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাসদাকে ফোন করলেও তিনি তার ফোন ধরেননি। একইভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষকে ফোন করলেও তার ফোন সুইচ অফ পাওয়া গেছে। তবে এই প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বালুরঘাট ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রবীর রায়।

এদিন তিনি বলেন, “বিজ্ঞানীদের উপর হামলা বা মারধরের সঙ্গে আমাদের কোনো ছেলে জড়িত নয়। কে কোন দল করবে তা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, তৃণমূল এই আদর্শে বিশ্বাসী। হয়ত কলেজ সংলগ্ন এলাকার ছেলেদের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আশা করি, দ্রুত তা মিটে যাবে। তবে এই ব্যাপারে আমার কাছে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি।”

সব মিলিয়ে এবার বিজেপি সাংসদের কলেজ থেকে বেরিয়ে আসার পরই অধ্যাপক এবং কর্মীদের মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের নাম জড়ানোয় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!