এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > সোমেন পুত্র রোহনের তৃণমূলে যোগদান? এবার এই বিষয়ে মুখ খুলে জল্পনা বাড়ালেন প্রভাবশালী নেতা!

সোমেন পুত্র রোহনের তৃণমূলে যোগদান? এবার এই বিষয়ে মুখ খুলে জল্পনা বাড়ালেন প্রভাবশালী নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন তৃণমূল এবং বিজেপিকে চাপে রাখতে পরিকল্পনা শুরু করেছে প্রদেশ কংগ্রেস, ঠিক তখনই দলের প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্রের একটি টুইটকে ঘিরে অস্বস্তি বাড়ল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের। যেখানে টুইটে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রয়াত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্রের এহেন ট্যুইট আগামী দিনে তৃণমূলের দিকে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিতকেই স্পষ্ট করছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে রোহন মিত্রের এই টুইটের পাল্টা জবাব দিয়েছেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি শাদাব খান। যাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরমহলে।

বস্তুত, সম্প্রতি প্রয়াত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে, প্রদেশ কংগ্রেসের কোনো একজন তারকা প্রচারক বসিরহাট লোকসভায় প্রচার করতে যাননি। যেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুর রহিম কাজি প্রার্থী ছিলেন। কোনো তারকা প্রচারক ছাড়াই তিনি এক লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে বর্তমান কংগ্রেস নেতৃত্ব ভালো ব্যবহার করেনি। আর সেই কারণেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়েছেন।

পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করতেও দেখা যায় রোহন মিত্রকে। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “আমার বাবা সোমেন মিত্রের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক লড়াই থাকলেও, বাবা কোনোদিনই তাকে ছোট করে কথা বলেননি। আসলে বাবা মুখ্যমন্ত্রীর মত তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন। একটা সময় প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি রাজ্যজুড়ে সিপিএম তথা বামেদের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করেছিলেন। আমিও যুব কংগ্রেস থেকে উঠে এসেছি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আমি খুবই শ্রদ্ধাশীল।”

স্বাভাবিকভাবেই যখন প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রায়শই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন, তখন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্রের এহেন ট্যুইট সেই প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্বকে কার্যত বিরম্বনায় ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা রোহন মিত্রের এহেন টুইটের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি শাদাব খান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “আমি রোহন মিত্রের ট্যুইট দেখিনি। জানি না, ও ঠিক কি বলেছে। তবে আমি এটা বলতে পারি, ও তো আগেই যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে‌। আমার কাছে সেই ইস্তফা পত্র পাঠিয়েও দিয়েছে। তাই এখন নতুন করে কি বলছে, আমি জানি না।” কিন্তু যুব কংগ্রেসের বিভিন্ন আন্দোলনের রোহন মিত্রকে সংযুক্ত করতে কি কোনো অসুবিধা হচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে শাদাব খান বলেন, “আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে। তাতে কারও অনুপস্থিতিতে আমাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আগামী দিনে আমাদের প্রচুর কর্মসূচি রয়েছে। এর বাইরে বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। যা বলবার প্রদেশ থেকে কেউ নিশ্চয়ই বলবেন বলে মনে করি।”

তবে এই ঘটনায় অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে প্রয়াত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রোহন মিত্রের দূরত্ব যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেভাবে কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, তখন এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই আন্দোলন নিয়ে কথা বলায় আগামী দিনে রোহন মিত্রের তৃণমূলে যোগদানের রাস্তাকে পরিষ্কার করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!