এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পদ হারালেন হেভিওয়েট বিধায়ক নেতা! ব্যাপক শোরগোল

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পদ হারালেন হেভিওয়েট বিধায়ক নেতা! ব্যাপক শোরগোল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই ত্রিপুরা বিজেপিতে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যেখানে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে সুদীপ রায় বর্মনের দ্বন্দ্ব কার্যত প্রকাশ্যে চলে আসে। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল যে, মন্ত্রিত্ব খুইয়ে ফেলা সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক ত্রিপুরা ভবনে গিয়ে তাঁবু টাঙিয়ে ফেলেছিলেন। যেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবি জানানোর জন্য তারা উদ্যত হয়েছিলেন।

নানা মহলের তরফ থেকে অভিযোগ উঠেছিল, বিপ্লব দেবকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছেন বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধর। আর এবার সেই সুনীল দেওধরকে ত্রিপুরার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। সেখানে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হল বিনোদ কুমার সোনকারকে। স্বভাবতই এই ঘটনায় এখন ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

যেভাবে বিজেপির ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে সরানো নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে উঠেপড়ে লেগেছিলেন সুদীপ রায় বর্মন এবং তার অনুগামী বিধায়করা, তাতে বিজেপির অন্দরে ক্রমশ অসন্তোষ বাড়তে শুরু করে। ত্রিপুরার বিধায়করা যদি দলের মুখ্যমন্ত্রীকে সরানোর দাবিতে এইভাবে সরব হতে থাকেন, তাহলে সেখানকার বিরোধীরা যে নতুন করে অস্ত্র পেয়ে যাবে, তা বুঝতে বাকি ছিল না বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।

আর এই পরিস্থিতিতে সেখানকার পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। সুনীল দেওধর পর্যবেক্ষক থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি সেখানকার গন্ডগোল মেটাতে পারছেন না, তা নিয়ে বিজেপির অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। আর এবার সেই সুনিল দেওধরের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে সরানোর জন্য পালে হাওয়া দেওয়ার অভিযোগ উঠতে না উঠতেই তাকে সেই রাজ্যের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে সুনীলবাবু যেমন অস্বস্তিতে পড়লেন, ঠিক তেমনই সুদীপ রায় বর্মন এবং তার অনুগামী বিধায়করা কার্যত চাপে পড়ে গেলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই ঘটনায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং তার গোষ্ঠী অনেকটাই স্বস্তি পেলেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। একাংশ বলছেন, বিজেপি পর্যবেক্ষক বদল হওয়ায় বিপ্লব দেব এবং তার অনুগামীরা অনেকটাই স্বস্তি পেল। কেননা এই ঘটনায় কার্যত প্রমাণ হয়ে গেল যে, বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে সেখানকার বেশ কিছু নেতারা অভিযোগ করলেও, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তার পক্ষেই রয়েছে।

আর তার ফলেই বিপ্লব দেবের পক্ষ অবলম্বন করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেখানকার পর্যবেক্ষককে সরিয়ে দেওয়া হল। আর এতেই কার্যত স্পষ্ট যে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব দেবের উপরেই ভরসা রাখছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবেই বিপ্লব দেবের ওপর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজসংকেত থাকায় সুদীপ রায় বর্মন এবং তার অনুগামী বিধায়করা এখন কি করবেন, তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ত্রিপুরা রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!