এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভারতের আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বৈদেশিক নাক গলানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা

ভারতের আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বৈদেশিক নাক গলানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বেশ কিছু সময় ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে জাতীয় কৃষক আন্দোলন। মূলত কেন্দ্রীয় তিনটি কৃষিআইনের প্রতিবাদে চলছে এই বিক্ষোভ। এর মাঝেই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে দেশের বিভিন্ন স্তর থেকে উঠে আসছে মন্তব্য। পাশাপাশি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে মুখ খুলেছেন আন্তর্জাতিক মর্যাদাসম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জাতীয় স্তরে জোর শোরগোল। আর আজ সে কথাই উঠে এলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। এদিন সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিজের বিবৃতিতে কৃষক আন্দোলনে বিদেশিদের সমর্থন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নিয়ে সরব হয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজ্যসভায় এফডিআই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, এফডিআই মানে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেসমেন্ট নয়, বর্তমানে এফডিআই মানে ফরেন ডেস্ট্রাক্টিভ ইডিওলজি। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সমর্থনকে  মেনে নেয়নি গেরুয়া শিবির। আর সে কথাই প্রকাশিত হলো এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির বিবৃতিতে। এদিন তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বিদেশি মতাদর্শকে ধ্বংসাত্মক বলে ব্যাখ্যা করেন এবং দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

পাশাপাশি এদিন কৃষক নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন আলোচনায় বসার। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তীব্র কটাক্ষ করে কৃষি আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের আন্দোলনজীবী বলে তীব্র কটাক্ষ করেন। অন্যদিকে বিরোধীরাও প্রথম থেকে কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে হয়েছে সরব। এই নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য রাখলেন। তিনি বললেন, কংগ্রেস একসময় কৃষি ক্ষেত্র সংস্কারের কথা বলেছিল। এ প্রসঙ্গে বলার জন্য তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর বক্তব্য উদ্ধৃত করেন। অন্যদিকে কৃষকরা প্রথম থেকেই ভয় পাচ্ছে, নতুন কৃষি আইন হলে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আর থাকবে না। কিন্তু এদিন সে ব্যাপারে আশ্বস্ত করে বলেন মোদী- এমএসপি ছিল এবং এমএসপি বরাবর থাকবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তিনি কৃষিতে সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, 12 কোটি প্রান্তিক চাষী এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের প্রতি দেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করার প্রয়োজন। আর সে কারণেই কৃষি আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখ খুলেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার প্রান্তিক চাষীদের জন্য কি কি প্রকল্প গ্রহণ করেছে, সেকথা যেমন জানান, কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য কৃষি বিল আনা জরুরি হয়ে পড়েছিল বলে তিনি বলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে চাষীদের বুঝিয়ে বলার অনুরোধ করেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষি আন্দোলন নিয়ে যত সময় যাচ্ছে ততই আন্দোলন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।

সম্প্রতি প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষি আন্দোলনের পতাকা উত্তোলন নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। তার মধ্যেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে কৃষকদের সমর্থনে যখন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রিহানা ও গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্যদের মুখ খোলায়।। তবে সেক্ষেত্রে দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বৈদেশিক হস্তক্ষেপের যুক্তি তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় শিবির। সবমিলিয়ে ক্রমাগত কৃষক আন্দোলনের জট আরও নিবিড় হচ্ছে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশি সেলিব্রিটিদের মুখ খোলা নিয়ে যেভাবে মন্তব্য করলেন, তা যে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করবে, সেকথা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!