এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অপমান মোদীকে, শুরু তরজা!

ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অপমান মোদীকে, শুরু তরজা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্র বনাম রাজ্যের বিবাদ নতুন কিছু নয়। আর সেই বিবাদে মাঝে মধ্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনো অনুষ্ঠান করা হলে সেখানে বাদ পড়েন বিরোধীদলের জনপ্রতিনিধিরা বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এবার ভাষা দিবস উপলক্ষে দুই দেশের যৌথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকলেও, সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

বলা বাহুল্য, প্রতিবছরের মত এবছরও পেট্রোপোল সীমান্তে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করে ভারত এবং বাংলাদেশ। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার সংক্ষিপ্তভাবে সেই অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানের পোস্টারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকলেও, কেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীকে ব্রাত্য রাখা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সত্যিই তো তাই! দুই দেশের মধ্যে যখন অনুষ্ঠান, তখন কেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর ছবি সেখানে রাখা হল না? এদিন এই প্রসঙ্গে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, “দুই দেশের যৌথ অনুষ্ঠানে মঞ্চে, এমনকি তোরণেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে নরেন্দ্র মোদীর ছবি ছিল না। সর্বত্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়েছিল। যে কমিটি এই অনুষ্ঠান উদযাপন করে, তারা তৃণমূল পরিচালিত। তাই তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপমানিত করেছেন।” অর্থাৎ গোটা বিষয় নিয়ে এখন যে রীতিমত রাজনৈতিক তরজা বাড়তে শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই রকম অভিযোগ করলেও, তা সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, “এটা দুই বাংলার মৈত্রী বন্ধন। তাই বাঙ্গালীদের ছবি দিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটা বাংলা ও বাঙালির আবেগের বিষয়।” কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, বাংলা তো ভারতবর্ষের অধীনে একটি রাজ্য। সেক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকলেও, কেন পশ্চিমবঙ্গ যে দেশের অন্তর্ভুক্ত, সেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে না?

তাহলে কি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা নয়? ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মৈত্রীর বার্তা দিতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু সেই মৈত্রীর বার্তা দিতে গেলে যে গোটা দেশকে একত্রিত হয়ে চলতে হবে, তা কেন ভুলে যাচ্ছেন তারা? এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশ নিজেদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি তুলে ধরলেও, কেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হল না! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে এবার ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি অবমাননার অভিযোগ তুলে সরব গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!