এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিধানসভায় আমরা ৫-০ গোলে জিতব, তৃণমূল তো গোলকিপারই পাচ্ছে না! বিস্ফোরক দাবি সায়ন্তন বসুর

বিধানসভায় আমরা ৫-০ গোলে জিতব, তৃণমূল তো গোলকিপারই পাচ্ছে না! বিস্ফোরক দাবি সায়ন্তন বসুর


লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ভালো ফলাফল করার পরই রাজ্যে তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই চরম আকার ধারণ করেছে। এখন দুই দলেরই লক্ষ্য 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তবে এরই মাঝে এনআরসি ইস্যু রাজনীতির উত্তাপ চরম পরিমাণে বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে যখন অসমের পর বাংলায় এনআরসি করার দাবিতে সরব হচ্ছেন বিজেপি নেতারা, ঠিক তখনই বাংলায় কোনো এনআরসি হবে না বলে পাল্টা পথে নামতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আর এবার এই এনআরসি নিয়েই কার্যত হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে। সূত্রের খবর এদিন আলিপুরদুয়ারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা বলেন, “এনআরসি থেকে একজন হিন্দুরও নাম বাদ যাবে না। সেই হিন্দু বাংলাদেশ থেকে আসুন, আফগানিস্তান থেকে আসুন বা মঙ্গল গ্রহ থেকেই আসুন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলিমদের নাম এনআরসিতে কোনভাবেই থাকবে না।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সায়ন্তনবাবু এই কথা বলে তৃণমূলের যুক্তিকে যেমন খন্ডন করলেন, ঠিক তেমনই এনআরসিতে কারও কোনো ক্ষতি হবে না বলে নিজেদের মত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলেন। অন্যদিকে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণ ও চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি লাগুর দায় নিয়ে সায়ন্তন বসু রাজ্যের ঘাড়েই দোষ চাপান। জানা যায়, আগামী বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি হিসাবে সোম ও মঙ্গলবার দু’দিন বিধানসভা এলাকা ধরে ধরে আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এদিন তার সাথে জেলা পার্টি অফিসে ওই সাংবাদিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এনআরসির বিরুদ্ধে তৃণমূল এখন জোর প্রচার করছে। কুমারগ্রামের আন্তরাজ্য সীমান্ত বারোবিশায় এনআরসি বিরোধী মিছিল করে ভালো সাড়াও পেয়েছে শাসক দল। আর এদিন সাংবাদিক সন্মেলনে সেই প্রসঙ্গ তোলা হলে এনআরসি’র জন্য কোনও হিন্দুকে হেনস্তা করা হবে না বলে তৃণমূলের সমর্থনকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির এই রাজ্য নেতা।

অন্যদিকে এদিন চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ও ডুয়ার্সে বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, “এর দায় সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের। কেন্দ্রীয় সরকার বড়জোর চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে রাজ্যকে পরামর্শ দিতেও অনুরোধ করতে পারে। শ্রমিকদের জন্য প্যাকেজ দিতে পারে। কিন্তু রাজ্যকেই চা বাগান অধিগ্রহণ ও শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কার্যকর করতে হবে। কেন্দ্র তো বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণ করতেই গিয়েছেল।” কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে তারা এই জেলার বৈঠক করলেও ঠিক কি বুঝলেন! আগামী বিধানসভায় তৃণমূলকে দমিয়ে তারা কি এই জেলায় সমস্ত আসন দখল করতে পারবেন!

এদিন এই সায়ন্তন বসু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে আমরা আলিপুরদুয়ারে জিতেছি। এখানে পাঁচটি বিধানসভার আসন আছে। আমরা ৫-০ গোলে জিতব। তৃণমূল তো গোলকিপারই পাচ্ছে না।” তবে সায়ন্তন বসু তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে এই কথা বললেও পাল্টা তার জবাব দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “সায়ন্তনবাবু বলছেন একজন হিন্দুর নামও এনআরসিতে বাদ যাবে না। তাহলে অসমে ১৯ লক্ষ এনআরসি ছুটদের মধ্যে ১৩ লক্ষ হিন্দুর নাম আসছে কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন মুখ্যমন্ত্রী আছেন, ততদিন এই রাজ্যে এনআরসি চালু করা যাবে না।” সব মিলিয়ে রাজ্যে জমে উঠেছে তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!