এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধায়কের অসম্মতির পর দ্রুত কলেজগেট থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো প্রাক্তন বিধায়কের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স

বিধায়কের অসম্মতির পর দ্রুত কলেজগেট থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো প্রাক্তন বিধায়কের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বলাগড় বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের গেটের সামনে এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অসীম মাঝি সহ একাধিক স্থানীয় নেতার ছবি ছিল। যাকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বলাগড় এর বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে, কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকতে পারে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ছবি থাকতে পারে। কিন্তু অন্য কোন নেতার ছবি রাখা বাঞ্ছনীয় নয়। এরপর দলের রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে কলেজের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো দুটি ফ্লেক্স।

এই ফ্লেক্সদুটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি যেমন ছিল, সেই সঙ্গে ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। আবার, রাজ্য যুব তৃণমূল সহ সভাপতি শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের ছবি, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অসীম মাঝির ছবিও সেখানে ছিল। স্থানীয় নেতাদের ছবি নিয়ে আপত্তি ছিল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর। তাঁর ছবিও কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে টাঙাতে নিষেধ করেছিলেন তিনি। এরপর তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্তের নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল বলাগড় ব্লক যুব তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় কলেজে গিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় কৃষ্ণ মোদকের মূর্তির সামনে থেকে দুটি ফ্লেক্স খুলে নেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, কিছুদিন আগে রক্তদান শিবির উপলক্ষে এই ধরনের ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছিল। গতকাল তা খুলে নিয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন যে, রাজ্য নেতৃত্তের পক্ষ থেকে ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল কলেজ থেকে। সেই নির্দেশের কথা তিনি সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়কে জানান।

অন্যদিকে, কাল আবার ফেসবুকে বিশেষ পোস্ট করেছেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। যেখানে তিনি লিখেছেন যে, বন্দুক, রিভলবার দেখিয়ে যারা ভোটে জয় লাভ করেন, তাদের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে না। তিনি অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় নেতাদের একাংশের জন্য গুপ্তিপাড়াতে নিজের বিধায়ক কার্যালয়ে তিনি বসতে পারছেন না। ৪,৫ জন দুষ্কৃতী তাঁকে নিয়মিত অশ্রাব্য ভাষায় অপমান করে যাচ্ছে। এর বিহিত করতেই এবার কলকাতায় গিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!