প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্য রাজনীতিতে তিনি স্পষ্ট বক্তা হিসেবেই পরিচিত। তার বক্তব্য নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রতিপক্ষ তো বটেই, অনেক সময় দলের ভেতরেও অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করতে থাকেন। বর্তমানে দল ভাঙনের আশঙ্কা জাঁকিয়ে বসেছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর তার মাঝেই দুই বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেও তাকে গুরুত্বই দিলেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যেখানে দুই একজন চলে গেলে দলের খুব একটা ক্ষতি হবে না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সভাপতি কেন এই গোটা বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, আজ বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। আর সেখানেই দুই বিধায়কের তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তরেই আশ্চর্যজনক যুক্তি দেন রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের প্রধান সেনাপতি। এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দলবদল নতুন কোনো ব্যাপার নয়। তৃণমূল থেকে আমাদের দলে ডজন ডজন বিধায়ক, সাংসদ আসার পরেও তৃণমূল দলটা আছে। তাই দুই একজন চলে গেলেও বিজেপির খুব একটা ক্ষতি হবে না।” অর্থ্যাৎ গোটা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে দলের সাংগঠনিক কাঠামো যে অত্যন্ত শক্তিশালী, তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিলীপ ঘোষ নিজের কথার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, এর আগেও বহু দলবদল হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। এক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগের কথা তুলে ধরে তৃণমূল থেকেও অনেকে যে গেরুয়া শিবিরে যুক্ত হয়েছিলেন, সেই কথা উল্লেখ করলেন তিনি। অর্থাৎ দিলীপ ঘোষ এই কথা বলে সমালোচক মহলকে জবাব দিতে চাইলেন। কেননা দুই বিধায়ক দল পরিবর্তন করার পর আরও অনেকেই গেরুয়া শিবিরে ধ্বস নামিয়ে তৃনমূলে যুক্ত হতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাই কেউ বা কারা দল পরিবর্তন করলে যে দল হিসেবে বিজেপি দুর্বল হয়ে যাবে, এটা ভাবা বৃথা বলে নিজের যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করলেন দিলীপ ঘোষ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।