Big Breaking মন্ত্রী পদ ছাড়ার পরই বড় পদক্ষেপ নিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা! জেনে নিন তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি January 7, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মন্ত্রী পদ এবং জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর তারপরই লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। শুভেন্দু অধিকারীর মত তিনিও কি এবার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে নাম লেখাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। যদিও বা তাকে নিয়ে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, লক্ষ্মীরতন শুক্লা খেলায় বেশি করে সময় দিতে চায়। কিন্তু তার পরেও হঠাৎ করেই তার মন্ত্রী এবং জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হতে শুরু করেছিল। অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন, হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষায়। এমনকি দিলীপ ঘোষ লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে বিজেপিতে আসবার জন্য আহ্বান জানানোর পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও গুঞ্জন তৈরি হয়। আর এই পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন সেই লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, “আমি খুব সাদামাটা মানুষ। ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমার সব থেকে বড় পরিচয় ম্যাচের আগে সবাই জেতার চেষ্টা করি। তারপর সকলে বন্ধু হই। আমরা বাংলায় হিংসা, প্রতিহিংসা দেখতে চাই না। সকলে নিজের খেয়াল রাখতে পারি। এটাই সমাজ। সমাজকে ভেঙ্গে এগোনো যাবে না। আমপান, করোনার সময় সকলে এগিয়ে এসেছিল। নিজের, নিজের পরিবার, সমাজের খেয়াল রাখা প্রয়োজন। হিংসা থেকে দূরে থাকুন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু তার বিজেপি যোগ নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা কতটা সত্যি! এদিন এই প্রসঙ্গে লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, “যাদের সঙ্গে কাজ করেছি ধন্যবাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। উনি বলেছেন ভালো ছেলে। এটাই বড় প্রাপ্তি। বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ নেই।” অর্থাৎ মন্ত্রী পদ এবং জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা গেল লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে। তাকে নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তা সরাসরি খারিজ করে দিলেন তিনি। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার সুর শোনা গেল তার গলায়। বিশ্লেষকরা বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। হাওড়া জেলা নিয়ে তৃণমূলের বিড়ম্বনা এখন সবথেকে বেশি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেসুরো মন্তব্য এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদ থেকে ইস্তফা শাসকদলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর এরপরই লক্ষ্মীরতন শুক্লা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে দাবি করেছিল একাংশ। কিন্তু এদিনের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তা সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিতে দেখা গেল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। তবে অতীতে এরকম অনেক নেতাকে নিয়ে জল্পনা চলার সময় তারা তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তীতে আবার তাদের অন্য শিবিরে নাম লেখাতে দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্মীরতন শুক্লা কি করেন, তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -