Big Breaking শুভেন্দুর পর হেভিওয়েট সাংসদকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা, পাশে থাকার বার্তা বিজেপির! বর্ধমান বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর সাথেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছিলেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে নানা সময় অভিযোগ করা হয়, যারা তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করছেন, তাদের ওপর হামলা করছে তৃণমূল। এক্ষেত্রে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের সুরক্ষা দেওয়া নিয়ে দাবি উঠতে শুরু করেছিল। সম্প্রতি বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে সংবর্ধনা নেওয়ার সময় তৃণমূলের পক্ষ থেকে হামলা করা হয় সেই সুনীল মণ্ডলকে বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপর থেকেই শুভেন্দুবাবুর মত সুনীলবাবুকেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদান করা হবে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হল সেই বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপিতে যোগদানকারী নেতাদের পাশে যে দল সব সময় আছে, তার বার্তা দিতেই এদিন সুনীলবাবুকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদান করে পাশে দাঁড়াল গেরুয়া শিবির বলে দাবি একাংশের। বস্তুত, কলকাতায় বিজেপি কার্যালয়ে যাওয়ার পথেই সুনীল মণ্ডলের উপর হামলার ঘটনার পরেই রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি জানানো হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আর এরপরই এদিন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। জানা গেছে, বর্তমানে সুনীলবাবুর নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর 11 জন সশস্ত্র কর্মী সব সময় তার সঙ্গে থাকবেন। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে অন্য দল থেকে আসা হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধিদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডল। তিনি বলেন, “এই রাজ্যে কেউ সুরক্ষিত নয়। পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার আমার জন্য ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে।” পর্যবেক্ষকদের দাবি নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসবে ততই রাজনৈতিক পারদ বাড়তে শুরু করবে শুধু তাই নয় বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনা ইতিমধ্যেই সামনে আসতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দলবদলকারী নেতাদের ওপর যাতে হামলার ঘটনা না ঘটে, তার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার সুনীল মণ্ডলকেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হল। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদান করে বিজেপি নীচুতলার অনেক কর্মীকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল। কেননা শুভেন্দু অধিকারীর পথে হেটে তার অনেক অনুগামীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রাণ সংশয়ের যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু সুনীল মণ্ডলকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদানের মধ্যে দিয়ে বিজেপি সেই সমস্ত কর্মীদের পাশে দল যে সবসময় রয়েছে, তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -