এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল নেতাকে দলে টানতে টিকিটের প্রতিশ্রুতি! তাই কি বিজেপিতে যোগ! জল্পনা তুঙ্গে!

তৃণমূল নেতাকে দলে টানতে টিকিটের প্রতিশ্রুতি! তাই কি বিজেপিতে যোগ! জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মেদিনীপুরে অমিত শাহ সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী যেদিন গেরুয়া শিবিরের পতাকা ধরেছিলেন, ঠিক সেদিনই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় যোগদান করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর হঠাৎ করেই সত্যেনবাবুর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানে রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায় জেলার রাজনৈতিক মহলে। অনেকে বলতে শুরু করেন, সামনের বিধানসভা নির্বাচনের সত্যেন্দ্রনাথ রায় তৃণমূলের টিকিট পাবেন না জেনেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আর এইরকম আলোচনার মাঝেই এবার একটি বিস্ফোরক খবর চাউর হতে শুরু করল।

জানা গেছে, গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের টিকিট পাওয়ার প্রতিশ্রুতির পরেই তৃণমূলের সত্যেন রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির মত সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরায়ন দলের বিরোধী দলের নেতাকে টানতে এভাবে টিকিটের প্রতিশ্রুতি দেওয়া নিয়ে এবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সত্যিই কি তাহলে সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের মত নেতাকে নিজেদের দিকে আনবার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল! আর তারপরই সত্যেন্দ্রনাথ রায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে সরব হতে দেখা যাচ্ছিল সত্যেন্দ্রনাথ রায়কে। এমনকি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যদি তাকে টিকিট দেওয়া না হয়, তাহলে তিনি দল পরিবর্তন করতে পারেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর এর পরেই হঠাৎ করে মেদিনীপুরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার সময় বিজেপিতে নাম লেখান সেই সত্যেন্দ্রনাথ রায়।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় 35 থেকে 45 টি আসন চেয়েছেন। আর এই সমস্ত আসনে যে তিনি তার সঙ্গে যোগ দেওয়া অনুগামীদের প্রার্থী হিসেবে বিজেপির কাছে নাম প্রস্তাব করবেন, তা বলাই যায়। কিন্তু এর মাঝেই গুঞ্জন তৈরি হয়েছে যে, সত্যেন্দ্রনাথ রায় বিজেপির কাছ থেকে টিকিট পাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন।

যদি এই গুঞ্জন সত্যি হয়, তাহলে বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে বলে দাবি করছেন একাংশ। কেননা দলে আসা নবাগত সত্যেন রায়েকে যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে দেওয়া হয়, তাহলে দলের অনেক পুরনো কর্মীরা এর বিরুদ্ধে সরব হতে পারেন। যার ফলে বিজেপির সমস্যা আরও বাড়বে বলেই দাবি করছেন একাংশ। একাংশ বলছেন, 2011 সালে তৃণমূলের তৎকালীন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরেই সত্যেন্দ্রনাথ রায় কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর এর পরেই তাকে গঙ্গারামপুর বিধানসভায় টিকিট দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সত্যেনবাবু সেই নির্বাচনে জয়লাভ করার পর দিনকে দিন বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। পরবর্তীতে 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে গঙ্গারামপুর বিধানসভার টিকিট দেওয়া হলেও, তিনি পরাজিত হন। যেখানে জয়লাভ করেন তৎকালীন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী গৌতম দাস। তবে এর পরবর্তী সময়কালে সেই গৌতমবাবু যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি।

স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনে এই গঙ্গারামপুর বিধানসভায় গৌতম দাসকেই যে টিকিট দেবে শাসকদল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি টিকিট না পেলে তার রাজনৈতিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে বলে অনুভব করেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথবাবু। যার পরে তাকে যাতে টিকিট দেওয়া হয়, তার জন্য দাবি তুলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই কোনো কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন বলে দাবি করছেন একাংশ।

আর বিজেপিতে যোগদান করার আগে তিনি গেরুয়া শিবিরের কাছ থেকে টিকিট পাওয়ার ব্যাপারটি পাকা করে নিয়েছেন বলেই খবর চাউর হতে শুরু করেছে। যার ফলে বিজেপি শৃঙ্খলা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যদিও বা সেই সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বিনয় বর্মন। এদিন তিনি বলেন, “জেলায় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। রাজ্যের তরফে এই বিষয়ে কোনো সংকেত আসেনি।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!