এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সায়ন্তন-দেবাশীষের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরালো গেরুয়া শিবির

সায়ন্তন-দেবাশীষের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরালো গেরুয়া শিবির


লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের শাসকশিবির ভেঙে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের লম্বা লাইন লেগে গেছে। তবে, এই যোগদান শুধুমাত্র মাদার সংগঠনেই সীমাবদ্ধ নয়, তার হাওয়া লেগেছে অন্যান্য শাখা সংগঠনেও। বিশেষ করে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা – তাঁরা যেন প্রতিমুহূর্তে স্পষ্ট করে দিচ্ছেন ডিএ ও পে-কমিশন নিয়ে বঞ্চনার পরিপ্রেক্ষিতে, বর্তমান রাজ্য সরকারের উপর ক্ষোভ।

একই সঙ্গে, যত দিন যাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এই ডিএ ও পে-কমিশন নিয়ে বঞ্চনার অবসান করতে পারে একমাত্র বিজেপিই এমনই একটা ইঙ্গিত সুস্পষ্ট করছেন। লোকসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের হিসাব যদি দেখা যায় – তাহলে দেখা যাবে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ৪২ টির মধ্যে ৩৯ টি আসনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে হারিয়ে, ‘জয়ী’ করেছেন গেরুয়া শিবিরকে।

আর তাই, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের গেরুয়া শিবিরে যোগদানের ঘটনা যেন বেশি করে ঘটছে আজকাল। আজও সেই একই ‘ট্রেন্ড’ বজায় রেখে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম শীর্ষ রাজ্যনেতা তথা সরকারি কর্মচারী সেলের পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসু ও সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীলের হাত ধরে গেরুয়া শিবির বড়সড় ভাঙন ধরাল ঘাসফুল শিবিরে। বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে এই যোগদান অনুষ্ঠিত হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজকের যোগদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, রাজ্যের সচিবালয়, ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ, যুব কল্যাণ দপ্তর, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগ, পর্যটন দপ্তর, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর, স্বাস্থ্য ও আয়ুষ দপ্তর, পানিহাটি পৌরসভার কর্মী, তন্তুজ কর্মী, হেয়ার স্কুল শিক্ষক আশীষ কুমার সিং এবং তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত সরকারি কর্মচারী সংগঠনের প্রাক্তন কোর কমিটির সদস্য সঞ্জীব পাল।

নবীনদের দলে স্বাগত জানিয়ে সায়ন্তনবাবু এদিন রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হন। গতকাল ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র ৩৭০ অবলুপ্ত করায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করলে, পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। এর পাশাপাশিই গতকাল মেদিনীপুরে বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিশের আক্রমনকে ‘গণতন্ত্রের কলঙ্ক’ বলে আখ্যা দেন তিনি।

অন্যদিকে, দেবাশীষবাবু জানান, বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে বঞ্চিত হতে হতে সরকারি কর্মচারীদের পিঠ দেওয়ালে থেকে গেছে। আর তার প্রতিবাদ করলেই শুরু হয়েছে বদলি সন্ত্রাস! সরকারি কর্মচারী পরিষদ সমানতালে আইনি ও রাস্তার লড়াইয়ের মাধ্যমে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থরক্ষায় লড়াই করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশিই নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে শুরু করে আমাদের সকল শীর্ষনেতাই জানিয়ে দিয়েছেন, এই রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে, প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।

দেবাশীষবাবু আরও বলেন, ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা একপ্রকার নিশ্চিত বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে বঞ্চনা আর হতাশা ছাড়া কিছুই মিলবে না। এর থেকে পরিত্রান দিতে পারে একমাত্র বিজেপিই। ফলে, অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের উপরেই সকলে আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। আজকের যোগদান তার একটা ঝলক মাত্র, আগামী দিনে এই রাজ্যে পরিবর্তনের পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে আরও বিপুল সংখ্যক কর্মচারী বন্ধুরা পরিষদের ছাতার তলায় আসবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!