এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিমল গুরুং আড়ালে থাকলেও পাহাড়ে ভোট করার পরিস্থিতি নেই মানলেন মমতা

বিমল গুরুং আড়ালে থাকলেও পাহাড়ে ভোট করার পরিস্থিতি নেই মানলেন মমতা


পাহাড় সন্ত্রাস বিমল গুরুং দার্জিলিং ছেড়েছেন অনেকদিন। তা গত বছরের জুন থেকে তাঁর টিকিটি পাহাড়ে আর দেখা যায়নি।  তাঁর আন্দোলনের রক্তক্ষরণ, ১০৪ দিনের দীর্ঘমেয়াদী বন্ধের পথ অতিক্রম করে পাহাড় এখন শান্ত। বিনয় তমাং, অনীত থাপকের নেতৃত্বে জিটিএ র তত্ত্বাবধায়ক বোর্ড তৈরি হয়েছিলো গত সেপ্টেম্বরে। পাহাড় শাসন করতে প্রয়োজনে ছ মাস মেয়াদ বাড়ানোও হয়েছিলো তাঁদের। কিন্তু এবার একটা শান্তিপূর্ণ ভোট দরকার। আর কত দিন পাহাড় এর শাসনভার চালাবে তত্ত্বাবধারকরা?? এই প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।

তবে পাহাড়ে ভোট করার দাবী এখনই পূর্ণ হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছে জিটিএ র প্রতিনিধিরা। তাঁরা যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, গুরুং সশরীরে পাহাড়ে উপস্থিত না থাকলেও পাহাড়ের সমস্ত খবরাখবরে তাঁর চোখ আছে। তিনি না থাকলেও আছেন তাঁর অনুগামীরা। সমস্ত কার্যকলাপের রিপোর্ট পৌছায় গুরুং এর কাছে। এমতাবস্থায় ভোট নিলে গোলমাল হতে পারে পাহাড়ে। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে পাহাড় আবার। আশঙ্কা প্রকাশ করে বিনয় এদিন জানান ” আগুন নিভে গিয়েছে। কিন্তু নীচে যে ছাইচাপা আগুন এখনো রয়েছে,সেটা না নিভলে ভোট করানো সম্ভব নয়।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সম্প্রতি পাহাড় সফরে গেছিলেন তিনি। সেখানেই পাহাড়ে ভোট করা নিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক হয় জিটিএ কর্তাদের,কালিম্পং এ ১৫ টি বোর্ডের এক অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি জানান যে এখন ভোট হওয়ার কোনো পরিস্থিতিই নেই পাহাড়ে।

বিনয় তমাংরা কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক থেকে নন, ভোটে জিতেই পাহাড়বাসীর সেবা করতে চান।  কিন্তু জিটিএ কর্তাদের মতো অনেকেই মনে করছে পাহাড়বাসীর মন থেকে এখনো গুরুং প্রভাব ম্লান হয়নি। গুরুং একবার হাক দিলই আবার জড়ো হয়ে যাবে লোক। আর এই কাজে মদত জোগানোর জন্য আছে শুভা প্রধানের মতো মানুষেরা।  বিনয় জানাচ্ছেন যে, ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হতেই পুজো চলো আসবে আা তারপরই স্কুলে পরীক্ষা। তাই এখনই ভোট নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁদের। তবে তাঁদের এই ছক্ তাঁদের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দিষ্ট করে দেওয়া ৪ দফা কর্মসূচি, তাঁরই বেঁধে দেওয়া দু বছর সময়সীমার মধ্যে শেষ করার পরই কি পাহাড়ে ভোট নিয়ে সক্রিয়তা দেখাবেন তারা? এই প্রশ্ন  জবাবে মুখ খুললেন না বিনয় তমাং। কিন্তু পাহাড়বিরোধী নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রীর জবাবে স্পষ্ট হল কিছু তথ্য। তিনি জানালেন, দুবছরে লোকসভা ভোট মিটে যাবে,আর বিধানসভা ভোটের তো অনেক দেরি এখনো। তাঁই মেয়াদ বেঁধে দেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো যুক্তিই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে প্রশ্ন সেই থেকেই যাচ্ছে। ততোদিনে পাহাড় সুষ্ঠুভাবে ভোটপ্রক্রিয়া চালানোর পরিস্থিতিতে পৌছাবে তো? এই সংশয় নিয়ে আপাতত জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!