এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিরোধ, বিতর্ক, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আলো-আধারিতে শুরু হলো সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা।

বিরোধ, বিতর্ক, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আলো-আধারিতে শুরু হলো সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমনের কারণে অন্যান্য বছরের মতো এ বছরে এপ্রিল-মে মাসে সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিট ইউজি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। পরবর্তীকালে এই পরীক্ষাদুটি গত জুলাই মাসে নেওয়ার সিদ্ধান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনা সংক্রমনের কারণে তা আবার পিছিয়ে দিয়ে আজ থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

করোনা কালে এই পরীক্ষা নেবার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিরোধী দলের ব্যাপক চাপানউতোর চলে, বিতর্ক আইনি লড়াই এর ঢেউ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছায়। কিন্তু এতকিছুর পরও কেন্দ্রীয় সরকার তার সিদ্ধান্ত রেখেছে। করোনা আবহের মধ্যে কে আজ পয়লা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে ৬ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকাল দুপুর দুবেলা চলবে সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা অন্যদিকে ১৩ তারিখ হবে নিট ইউজি পরীক্ষা।

করোনা সংক্রমণ কালে সর্বভারতীয় পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রথম থেকেই প্রবল আপত্তি ছিল। এ প্রসঙ্গে গত রবিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ব্যাপারে কেন্দ্র সরকার রাজ্য কে কোন দায়িত্ব দেয় নি তাই রাজ্যের তরফ থেকে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার কোন ব্যাপার নেই। তবে গতকাল সোমবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পরীক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করবে সরকারি বাস নিগম গুলি।

একারণে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ এর ডিপো থেকে আজ ভোর পাঁচটা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সরকারি বাস ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে বেসরকারি বাস, অটো, ট্যাক্সি যাতে পথে নামে সেদিকে নজর রাখছে পরিবহন দপ্তর। রাস্তায় বাস না মিললে কিংবা পরিবহন সংক্রান্ত অন্য কোন অভিযোগ থাকলে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ফোন করে জানানোর জন্য একটি টোল ফ্রি নাম্বার দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এই নাম্বারটি হল ১৮০০৩৪৫৫১৯২।

তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কিন্তু কাটছে না। সরকারের তরফ থেকে বাস দেওয়া হলেও পরীক্ষার্থীরা অনেকেই শংকিত এ কারণে যে, বাসে করে যদি পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার একটা প্রবল সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। তাছাড়া করোনা সংক্রমনের মাঝে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কতটা যুক্তিযুক্ত সে ব্যাপারেও টানাপোড়েনে আছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে কিছু কিছু পরীক্ষার্থী এটাও বলেছেন যে, পরীক্ষা হবে কি হবে না, এই চিন্তায় তাদের পড়াশোনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে গেছিল সেদিকে পরীক্ষা হয়ে যাওয়াটাই ভালো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক পরীক্ষার্থী হলেন নস্কর অরণ্য নস্কর। যার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পিয়ালীতে। আগামী বৃহস্পতিবার তেশরা সেপ্টেম্বর সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে তার পরীক্ষা কেন্দ্র। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে তার। তাই পরীক্ষা কেন্দ্রে গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় তার নেই। করোনা সংক্রমণের ভয়ে বাসে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না তিনি। বাসে করে গেলে করোণা সংক্রমণে ভয় থেকেই যায় এছাড়া পরীক্ষার হলে কতটা সামাজিক দূরত্ব মানা করা হবে সে নিয়েও যথেষ্ঠ দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।

এই জেলারই আরও একজন পরীক্ষার্থী হলেন বারুইপুর নিবাসী অর্ণব সাধুখাঁ। তার কথায়, করোনা সংক্রমনের মধ্যে বাড়ির কাছাকাছি যদি পরীক্ষার আয়োজন করা যেত তাহলে অনেক সুবিধা হতো তাদের। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন, দুই শিফটে পরীক্ষা হওয়ার কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ভিড় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে, এর চেয়ে যদি এক শিফটে পরীক্ষা হতো তাহলে হয়তো ভিড় কম হত।

আলিপুরদুয়ার জেলার বাসিন্দা দীপাঞ্জন দাস করোনা সংক্রমনের আশংকায় এবারের পরীক্ষায় বসছেন না। তার পরীক্ষা কেন্দ্র তার বাড়ি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়ি শহরে পড়েছে। করোণা সংক্রমণে আশঙ্কায় তার বাড়ির লোকজন তাকে শিলিগুড়ি যেতে দিতে ইচ্ছুক নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমনের কারণে বাসে যাওয়া একপ্রকার অসম্ভব, কিন্তু এত দূর গাড়ি ভাড়া করে যাওয়াতা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই এবার তিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন না।

অন্যদিকে হুগলি জেলার উত্তর পাড়ার বাসিন্দা অনঘ দত্ত জানিয়েছেন গত জানুয়ারি মাসে সর্বভারতীয় জয়েন্ট পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা দুই বন্ধু মিলে একটা গাড়িতে করে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। আর তার বাবা ট্রেনে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার করোনার কারণে আলাদা গাড়িতে যেতে হবে। তার উপরে এবার তারপর সকাল ৯ টা থেকে তাঁর পরীক্ষা শুরু, তাঁর রিপোর্টিং টাইম সকাল ৭ টা। এত সকালে বাসে করে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। তাই গাড়ি করে যেতে এক প্রকার বাধ্যই হলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!