এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর 9 মাস “হুমকিতে” এলাকাছাড়া তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান! থমকে উন্নয়ন ও পরিষেবা

বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর 9 মাস “হুমকিতে” এলাকাছাড়া তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান! থমকে উন্নয়ন ও পরিষেবা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কাজ বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে পঞ্চায়েতে। প্রায় দু’বছর আগে বোর্ড গঠন হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেভাবে স্বাভাবিক ছন্দে কাজ শুরু করতে পারেনি আমতা 1 ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। জানা গেছে, গত আড়াই মাস ধরেই পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। কারণ পঞ্চায়েত প্রধান শেখ ফারুক এখন গ্রামছাড়া। যার ফলে 100 দিনের কাজের প্রকল্পে যারা কাজ করছেন, তাদের মজুরি দেওয়াতে সই কে করবেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

পাশাপাশি সাধারণ গ্রামবাসীরা বসবাস থেকে শুরু করে নানা শংসাপত্র নিতে আসলে পঞ্চায়েত প্রধান না থাকায় তা ঠিক মত কেউ পাচ্ছেন না। কিন্তু হঠাৎ করে কেন পঞ্চায়েত প্রধানকে গেলেন, কোথায় গেলেন তিনি? একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই এই পঞ্চায়েতের প্রধান উধাও হয়ে গিয়েছেন। বস্তুত, এই পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর রয়েছে। একটি গোষ্ঠীর মাথা রয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শেখ ফারুক। আর অন্যটির মাথায় রয়েছেন আসফার মিদ্দা।

স্বাভাবিকভাবেই এই আসফার সাহেবের অনুগামী বলেই পরিচিত এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রজব। স্বাভাবিকভাবে মাঝেমধ্যেই প্রধান এবং উপপ্রধানের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। যা নিয়ে এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাই পঞ্চায়েতে প্রধানের অনুপস্থিতি এখন নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। তবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে যদি তিনি পঞ্চায়েতে অনুপস্থিত না হন, তাহলে তো মানুষ পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রধান বলেন, “আমি গ্রামে ঢুকলে দলের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর লোকজন আমাকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। তাই আমি এবং 400 অনুগামী গ্রামের বাইরে আছি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রজব আলি বলেন, “ফারুক এত অপকর্ম করেছেন যে, তাঁকে গ্রামবাসীরা তাড়িয়ে দিয়েছেন।এর সঙ্গে আমাদের দলের গোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক নেই।” কিন্তু প্রধান না আসায় যে সমস্যা হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তাহলে জনপ্রতিনিধি থেকে লাভ কি? এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিডিও লোকনাথ সরকার বলেন, “উপপ্রধানকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 100 দিনের কিছু কাজ পঞ্চায়েত সমিতিকে দিয়ে করানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। তাতে সার্বিক সমস্যা মিটবে না।

আমি দুবার প্রধানকে চিঠি দিয়ে আসতে বলেছি। উত্তর পাইনি। তবে আবার চিঠি দেওয়া হবে। তাতে উত্তর না পেলে কিছু একটা করতে হবে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধান যদি এইভাবে পঞ্চায়েতে না আসে, তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, ঠিক তেমনই তৃণমূলের পক্ষ থেকেও এই ব্যপারে গোটা ব্যবস্থা পদ্ধতি তদারকি করা উচিত। কেননা প্রধানের অনুপস্থিতিতে তাহলে পঞ্চায়েতের পরিষেবা কার্যত লাটে উঠবে। তাই এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানকে চিঠি দেওয়ার পর তিনি সক্রিয় হন, নাকি এরকমভাবেই গোটা পরিস্থিতি চলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!