বিজেপি মন্ত্রী এখনও কি করে কুর্সিতে বহাল? ক্ষোভে ফুঁসছেন মুখ্যমন্ত্রী! কলকাতা জাতীয় রাজ্য February 7, 2020 সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে যখন সারাদেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে, যে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে দেশের আমজনতা থেকেই বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সেখানে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপির সমালোচনাকারীদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে সম্প্রতি রীতিমত বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এই ঘটনা ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। দেশের বিরোধী দলগুলি অনুরাগ এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অসাংবিধানিক মন্তব্যের পরও কী করে কেউ মন্ত্রীর চেয়ারে বসে থাকতে পারেন!’ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর একটি নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে মন্তব্য করেন, ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালো কো’। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হয়। সেই অনুযায়ী তাঁর ওপর 72 ঘন্টা নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। এদিন অনুরাগ ঠাকুরকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ”অসাংবিধানিকভাবে শব্দ প্রয়োগের পরও কী করে একজন মন্ত্রী চেয়ার আঁকড়ে বসে থাকতে পারেন!” সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে দিল্লিতে শাহীনবাগের আন্দোলন রাজনৈতিক শিরোনামে উঠে এসেছে। শাহীনবাগের আন্দোলনকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, ”বিজেপি নেতারা বলছে, গুলি চালাবে। যেখানে পারছে গুলি চালাচ্ছে। এটা কী হচ্ছে, এটা সরকার! শান্তি বজায় রাখা দরকার। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গুলি চালাব। কাউকে পছন্দ হল না বলে গুলি চালিয়ে দেব? শাহিনবাগ, পার্কসার্কাসে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছে, মেয়েরা বসে আছে। সেখানে গিয়ে গুলি চালাচ্ছে।যা ইচ্ছে তাই করছে”। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শাহীনবাগের আন্দোলন ঘিরে যখন তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধে উঠেছে, সে সময় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একের পর এক রাজনৈতিক নেতারা শাহীনবাগের আন্দোলনকে টার্গেট করেছেন। শাহীনবাগের আগেই জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেখান থেকেই রাজনৈতিক মোড় অন্যদিকে ঘুরে যায়। এরপর কিছুদিন আগেই শাহীনবাগের বিক্ষোভস্থানের অনতিদূরেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ততা দিল্লির রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। সম্প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে গিয়ে বলেন, ”জামিয়া, শাহিনবাগের আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে। দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত এটা”। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। সেই স্রোতের অংশ হয়ে উঠেছে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া, শাহীনবাগ। বিতর্কিত ওই আইন নিয়ে একদিকে যখন বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে, ঠিক তখনই দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের মুখে শাহীনবাগকে পুঁজি করে শাসক-বিরোধী উভয় দল রাজনীতি চালাচ্ছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপাতত শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের সাথে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শাহীনবাগের আন্দোলনকে ঘিরে দীর্ঘদিন আন্দোলনকারী এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়, সে দিকে নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -