কর্মী নেতাদের বাঁচাতেই বাধ্য হয়ে ধর্ণা থামালো বিজেপি, গ্রেফতার প্রায় ৫০,০০০ কলকাতা রাজ্য June 12, 2019 রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজ্য বিজেপি লালবাজার অভিযানের কর্মসূচী নিয়েছে। মূলত সন্দেশখালির ন্যাজাট সহ গোটা রাজ্য জুড়ে যেভাবে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে তারই প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয়েছে এই মিছিল। প্রথম থেকেই মিছিল আটকাতে তৎপর কলকাতা পুলিশ, জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড করার পাশাপাশি তৈরী ছিল জলকামানও। নিরাপত্তার জন্য ললবাজার থানার দুটি গেট বন্ধ রাখা হয়েছিল, মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের হাতে প্রথম ব্যারিকেড ভাঙতেই, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান চালায়। এমনকি, বিজেপির মিছিলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে কলকাতা পুলিশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পুলিশের এই পদক্ষেপ দেখে, বিজেপির কিছু কর্মী মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ইঁট ছোড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে, পাল্টা মিছিলে লাঠিচার্জ শুরু করে কলকাতা পুলিশ। এরই মাঝে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পরলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দলীয় কর্মীরা ধরাধরি করে মিছিলের বাইরে নিয়ে গিয়ে শুশ্রূষার চেষ্টা করছেন। জানা যাচ্ছে লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের সৌজন্যে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র হওয়ার পর শেষে কোণঠাসা পুলিশের ঘোষণায় লালবাজার অভিযান শেষ করল বিজেপি। ধর্ণায় বসা বিজেপি নেতাদের দাবি ছিল পুলিশকে এসে বলতে হবে 50 হাজারের বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হল। না হলে তারা লালবাজারের দিকে এগোবেন। শেষমেষ পুলিশের এক কর্তা সেখান থেকেই মাইকে গ্রেপ্তার ও মুক্তির কথা ঘোষণা করেন। এরপরেই এদিনের ধর্ণা তোলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। তবে রাস্তা এখনও অচল। আপনার মতামত জানান -