এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব, নতুন করে বিজেপি নেতাদের আক্রমণ পার্থর

ফের ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব, নতুন করে বিজেপি নেতাদের আক্রমণ পার্থর


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরে “বহিরাগত” শব্দটিকে নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। বিজেপির পক্ষ থেকে ভিন রাজ্যের পাঁচ নেতাকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই ঘটনাকে বহিরাগতদের বাংলায় নিয়ে আসছে বিজেপি বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশান্ত কিশোর নিজেও বহিরাগত বলে তৃণমূলকে কটাক্ষ করা হয়েছে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে বিজেপি বহিরাগত নেতাদের বাংলায় আনলেও তারা বাংলা দখল করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। স্বভাবতই “বহিরাগত” নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে পারদ ক্রমশ চড়ছে, ঠিক তখনই সেই বহিরাগতদের নিয়ে আপত্তি না জানালেও কার্যত নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন যে, বিজেপি নেতারা রাজ্যে এসেও কিছু করতে পারবেন না।

সূত্রের খবর, এদিন রবীন্দ্রনগর ক্ষেত্রমোহন বিদ্যাপীঠ সংলগ্ন মাঠে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা। আর সেখানেই বিজেপির এই বাংলা দখল নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একডজন নেতা প্লেনে করে এখানে উড়ে এসে বাংলা জয় করতে পারবেন না। বিজেপিতে বাংলার নেতার যে যথেষ্ট অভাব রয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে। প্লেনে করে যদি নেতারা এসে জেলায় যান, তাহলে জেলা সভাপতিদের ভূমিকা আর কি রইল! যে সমস্ত বিজেপি নেতা বাংলা দখলের আওয়াজ তুলছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আগে বিজেপি নেতারা নিজেদের দল সামলান‌। তারপর অন্য দল নিয়ে ভাববেন। বিজেপির কোনো কর্মসূচি নেই। শুধু কুৎসা রটানো, দোষারোপ আর মিথ্যা বলে তৃণমূলকে আক্রমণ।”

অর্থ্যাৎ বিজেপির পক্ষ থেকে বাইরে থেকে নেতাদের নিয়ে এসে বাংলা দখলের ব্লু প্রিন্ট করা হলেও, তারা যে এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্বভাবতই পার্থবাবুর এই মন্তব্যে এখন নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন আগামী 26 নভেম্বর বামফ্রন্টের ডাকা ধর্মঘটের বিরোধিতা করতেও দেখা যায় তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “আমরা ধর্মঘটের বিরুদ্ধে। যে বিষয় ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, তা নিয়ে অনেক আগেই রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল। 26 তারিখ স্থানীয়ভাবে মিটিং, মিছিল, প্রতিবাদ সভা হবে।” কিন্তু সামনেই তো বিধানসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে এতদিন তার পাশের বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এখন তিনি বিজেপিতে। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের হয়ে লড়াই না করলে কি তৃণমূল ভালো ফল করতে পারবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কত দৌড় দেখা যাবে!” অর্থ্যাৎ দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে শেষ কথা এবং তার বিরুদ্ধে লড়াই করে যে অন্য কেউ সাফল্য পাবে না, তা নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃনমূল মহাসচিব।

পাশাপাশি বিজেপির বাইরে থেকে আসা নেতাদের কেউ কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!