এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় ফুঁসছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান! দিলেন বড়সড় ইঙ্গিত!

টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় ফুঁসছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান! দিলেন বড়সড় ইঙ্গিত!


রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ঠেকাতে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। লকডাউন এর মধ্যেও যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তার জেরে পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জেলা করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে হাওড়া অন্যতম। এই হটস্পট এলাকাগুলিতে কড়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে লকডাউন পালন করার ব্যাপারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ নিজেদের অজ্ঞতার কারণে করোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করছেন এবং বাধা দিলে উল্টে আইনরক্ষকদের ওপর আক্রমণ করছেন।

এরকমই একটি ঘটনার সাক্ষী রইল হাওড়ার টিকিয়াপাড়া। সম্প্রতি হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় লকডাউন ভেঙে কিছু ব্যক্তিদের জমায়েত করতে দেখে পুলিশ বাধা দিতে যায়। কিন্তু পুলিশকে উল্টে আক্রমণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে টিকিয়াপাড়ার দোষী ব্যক্তিদের যে ছাড়া হবেনা, সে ব্যাপারে রাতেই একটি টুইট করা হয়েছিল। এদিন রাজ্য পুলিশের এই পোস্টটি রিটুইট করে তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান রাজ্য পুলিশকে স্যালুট জানালেন। ঘটনার জেরে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিজস্ব মহলে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ ঘটনায় তিনি যে সর্বতভাবেই পুলিশের পাশে আছেন এবং ঘটনায় দোষীদের কিছুতেই ছাড় দিতে রাজি নন – তা এই রি-ট্যুইটেই প্রমাণিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের পোস্টটি টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রিটুইট করেন এবং জানিয়ে দেন, টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় কোন দোষী ব্যক্তি ছাড় পাবেন না। এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এরপর রাতেই এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালিয়ে 14 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়া টিকিয়াপাড়া বেলিসিয়াস রোডে পুলিশ নিজেই আক্রান্ত হয়। এই ঘটনায় দু’জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনার ভিডিও এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় অপরাধীদের জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হবে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্র থেকে রাজ্য প্রত্যেকেই চেষ্টা চালাচ্ছে যেকোনোভাবে করোনাকে প্রতিরোধ করতে। কিন্তু কিছু মানুষ তাদের নিজস্ব অজ্ঞ চিন্তাভাবনার জোরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আরো কড়া আইন চাইছে রাজ্যের সব মহল। অন্যদিকে লকডাউন মানা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই টিকিয়াপাড়ার ঘটনা নতুন করে আবারও সেই বিতর্ক উসকে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!