এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কুনালের জন্যই ধ্বংস হবে তৃণমূল, শেষমেষ শকুনি বলে আখ্যা! সেরা দিলেন অর্জুন!

কুনালের জন্যই ধ্বংস হবে তৃণমূল, শেষমেষ শকুনি বলে আখ্যা! সেরা দিলেন অর্জুন!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট– প্রত্যেকদিন ঘটা করে খবরের শিরোনামে থেকে দলের হয়ে কথা বলতে দেখা যায় স্বনামধন্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষকে। তবে এই কুনাল ঘোষ একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যা ইচ্ছে, তাই বলে আক্রমণ করেছিলেন। যেটা হয়ত বিরোধীরাও কোনোকালে করেনি। আজকে তিনি তৃণমূলের বড় সম্পদ হয়ে গিয়েছেন। কিছুদিন আগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বললেন, তারপর আবার তাপস রায়ের কাছে গিয়ে তার সঙ্গেও কথা বললেন। কিন্তু তাপস রায় দল বদল করে নিলেও কুনাল ঘোষ আবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে আবার তৃণমূলে নিজের ব্যবস্থা পাকা করে নিলেন। আসলে এর মত ডবল স্ট্যান্ডার্ড ব্যক্তিত্বের সংখ্যা খুব কম। না এই সমস্ত কথা আমরা বলছি না। এই সমস্ত কথা উঠে আসছে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে থেকেই। কারণ তারাও এই কুনাল ঘোষের বাড়বাড়ন্ত এবং তার এই ফটফটানি নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত। দুদিন আগে যিনি নেত্রী সম্পর্কে এত বাজে বাজে কথা বললেন, তাকে কেন দল এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে! তা নিয়ে দলের মধ্যে থেকেই প্রশ্ন উঠছে। আর এবার সেই কুনাল ঘোষ সম্পর্কে বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার পর অর্জুন সিংহ যা বললেন, তাতে মুখ দেখানোর মত জায়গা নেই তৃণমূলের এই মুখপাত্রের। যিনি দিনরাত সাংবাদিকদের সামনে অনেক বড় বড় কথা বলেন, সেই কুনাল ঘোষের রাতের ঘুম কেড়ে নিলেন অর্জুনবাবু। কি বললেন তিনি?

প্রসঙ্গত, এদিন কুনাল ঘোষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অর্জুন সিংহ। তিনি বলেন, “কুনাল ঘোষ হচ্ছে মহাভারতের শকুনি মামা। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তা বিরোধীরাও করেনি। কিন্তু তারপরেও তিনি তৃণমূলের হয়ে বড় বড় কথা বলেন। তিনি তৃণমূলের পরিবারটাকে ধ্বংস করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলে থেকে তৃণমূলকে তিনি একাই ধ্বংস করে দেবেন।” অনেকে বলছেন, এটা তো অত্যন্ত বাস্তব। কুনাল ঘোষ দল সম্পর্কে এত বাজে বাজে কথা বলার পরেও, নেত্রী সম্পর্কে এত খারাপ কথা বলার পরেও তাকে দল গুরু দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু যারা দলে মর্যাদা পাওয়ার মত ব্যক্তিত্ব, তাদেরকে দল সাইড করে দিয়েছে। তাপস রায় কতদিন ধরে দল করেছেন! অর্জুন সিংহ পুরাতন দিনের সৈনিক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে লড়াই করেছেন। আজকে তারা দল থেকে চলে গেলে নেত্রীর কিছু এসে যায় না। কিন্তু কুনাল ঘোষ দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বললে নেত্রী এবং যুবরাজের অস্বস্তি তৈরি হয়। তারা তখন কুনালবাবুকে রাখার জন্য সমস্ত চেষ্টা শুরু করে দেন। আসলে তৃণমূলের এই মুখপাত্র একটু ভালো নাটক করতে জানেন বলেই দলে তার এত কদর! কিন্তু তিনি যেভাবে দলকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, তা কি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝতে পারছে না? সবার সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি ব্যবহার করে যাকে যাকে সাইড করে দেওয়ার, তাকে তাকে সাইড করে দিয়ে দলের যে সর্বনাশ এই মুখপাত্র ডেকে আনছেন, তাতে কিন্তু বড় বিপদ অপেক্ষা করছে তৃণমূলের জন্য। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আজকে তৃণমূলের দলের হয়ে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের যা ইচ্ছে তাই বলেন কুনাল ঘোষ। কিন্তু তার রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। তার আতে ঘা লাগলে তিনি যে কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না, সেটা অতীতে তার একের পর এক বক্তব্য দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই আজকে তিনি তৃণমূলের হয়ে বড় কথা বললেও, যদি এই তৃণমূল ক্ষমতা থেকে চলে যায়, তাহলে হয়ত তিনিই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য কোনো দলের ঝান্ডা ধরে নিতে পারেন। তাই তার আদর্শ, তার বিবেকবোধ নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। সেক্ষেত্রে গাছের খেয়ে তলার কুড়োনোর মনোভাব যেভাবে তৃণমূলের এই স্বনামধন্য মুখপাত্র তৈরি করেছেন, তাতে তাকে এক কড়া সম্বোধনে ভূষিত করলেন অর্জুন সিংহ। যেভাবে তাকে শকুনি মামা বলে অভিহিত করা হলো, তাতে তৃণমূলের এই মুখপাত্র যথেষ্ট বিড়ম্বনার মুখে পড়ে গেলেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!