এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ধমকে চমকে কাজ হবে না, প্রবল ভয়ে তটস্থ তৃণমূল! বিদায় আসন্ন বলে কটাক্ষ সুকান্তর!

ধমকে চমকে কাজ হবে না, প্রবল ভয়ে তটস্থ তৃণমূল! বিদায় আসন্ন বলে কটাক্ষ সুকান্তর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো ভোটেই তৃণমূল কংগ্রেস ভয় দেখিয়ে বুথ দখল করে বাজিমাত করার চেষ্টা করেছে। এতদিন বিধানসভা হোক, পঞ্চায়েত হোক এবং পৌরসভা ভোটের সব জায়গাতেই তারা বিরোধী শক্তিকে নমিনেশন পর্যন্ত দিতে দেয়নি। সব জায়গায় পুলিশকে হাতিয়ার করে সমস্ত ক্ষমতা দখল করেছে এই রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু এবার দেশের লোকসভার ভোট। সেই লোকসভা ভোটে দিদির পুলিশ থাকবে না। থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের কড়া দৃষ্টিতে হবে লোকসভা নির্বাচন। তাই এখানে কোনোরূপ কায়দা করতে আসলে তৃণমূলকে কঠিন ফল পেতে হবে। আর সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে এই রাজ্যের শাসক দল।

প্রত্যেক বার ভোটের আগে তারা বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এবার ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও তৃণমূল কেমন যেন নেতিয়ে পড়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে যে, এবার বেশি কায়দা করতে গেলে তাদের ফল ভালো হবে না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে কি এখন বিরোধী শক্তিকে দেখেও ভয় পাচ্ছে এই রাজ্যের শাসক দল? বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে কথা বললেন, তা কিন্তু চমকে দেওয়ার মত। কিন্তু কি বললেন তিনি?

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল প্রত্যেকবার ভোটের আগে ধমকি দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এবার সেই প্রবণতা অনেক কম। কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন, তাদের ডুবে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সন্ত্রাস দমন করার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। মাসেল পাওয়ার কেউ ব্যবহার করতে গেলে তার ফল যে ভালো হবে না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।

স্বাভাবিকভাবেই এবার যে আর রাজ্য পুলিশের হাতে কোনো কিছুই নেই, সেটা বুঝতে পেরেই তৃণমূল নিনমিনে হয়ে গিয়েছে। আসলে বিরোধীরা প্রায়শই বলত যে, এই রাজ্যের শাসক দলের রাজনৈতিক অস্ত্র বলতে কিছু নেই। তারা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবে না, যদি তাদের পাশে পুলিশ না থাকে। তাই এখন তৃণমূলের আসল দম বুঝতে পারা যাচ্ছে। তাদের পাশে আজকে পুলিশ নেই জন্য, পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে জন্য তৃণমূলের নেতাদের বড় বড় ডায়লগ আর শোনা যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত, পৌরসভার মত ভোটে যেভাবে তারা আগে থেকে বিরোধী নেতাদের হুমকি দিয়ে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করত, এবার আর সেই পথে হাঁটার মত সাহস নেই তোলামূলের নেতাদের বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট শাসক দলের গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করার দিন শেষ। দল এবং প্রশাসনের সব কন্ট্রোল ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন কিছু কাজ তার দলের কেষ্ট, বিষ্টুরা করেছেন, যার ফল তাকে পেতে হচ্ছে। সন্দেশখালির ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, এই রাজ্যে তৃণমূল কি পরিমান অত্যাচার মানুষদের ওপর করেছে! তাই ভোটে সেই সাধারণ মানুষরা সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন, যাতে তৃণমূলকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া যায়। তাই সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে কঠিন এবং জোরদার হবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।এতদিন পুলিশকে দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এবার সেই দিন শেষ। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় ভারতবর্ষের যে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে বাংলাতে অনেক দিন পর এবার এক গণতন্ত্রের উৎসব সংগঠিত হতে দেখবেন গোটা রাজ্যবাসী। কিন্তু দিনের শেষে তৃণমূল কংগ্রেস হয়ত কিছু জায়গায় কিছু চক্রান্ত করার চেষ্টা করবে, তারা হয়ত রক্তপাত করে, অশান্তি করে প্রমাণ করার চেষ্টা করবে যে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে স্থাপন করতে ব্যর্থ। কিন্তু মানুষের মনে ভয়ের পরিবেশকে দূরীভূত করে গুন্ডাদের সন্ত্রাসকে দমন করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে শান্তির গণতন্ত্রের উৎসব স্থাপন করতে বদ্ধপরিকর। তাই অতীতে স্থানীয় নির্বাচনে তৃণমূল যেভাবে পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখানোর প্রক্রিয়া করত, এবার কিন্তু আর সেই প্রবণতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এর ফলেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তৃণমূল অত্যন্ত ভয়ে রয়েছে। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!