এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রত্যেকটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী! মমতার চিন্তা দ্বিগুণ করলেন সুকান্ত!

প্রত্যেকটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী! মমতার চিন্তা দ্বিগুণ করলেন সুকান্ত!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া যে এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে ভোট করা সম্ভব নয়, তা খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে শুধুমাত্র দেশের তিনটি রাজ্যে এই সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু যে বাংলা সংস্কৃতির বাংলা, যে বাংলায় এত উন্নয়ন হয়েছে, যে বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা নাকি কোনো প্রশ্নের জায়গায় নেই বলে তৃণমূল দাবি করে, সেই বাংলায় এত দফায় নির্বাচন কেন? এই প্রশ্নের উত্তর তৃণমূল কংগ্রেস দিতে পারছে না। কারণ তারাও জানে যে, তারা বাংলার যে জঘন্য পরিস্থিতি করে রেখেছে, তাতে সকলেই এই রাজ্যের শাসকদলের ওপর বিরক্ত। তবে শুধু দফা বাড়ালে হবে না। বাংলায় যদি মানুষ নিজের ভোট দিতে না পারে, তাহলে তো গণতান্ত্রিক উৎসব সেভাবে ফলপ্রসু হবে না।

তাই এক্ষেত্রে সকলে যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, তার জন্য প্রত্যেকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। আর যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কিন্তু সেই পথেই হাঁটতে চলেছে। আর এতেই চরম চাপে পড়তে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। এতদিন পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর অভ্যাস ছিল তাদের। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাবে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল বুঝতে পারছে যে, তাদের দিকে মানুষের মতামত থাকবে না। আর এটাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে এই রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। আর তাদের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজ্য কথা বললেন, তা শুনে টেনশন দ্বিগুণ হয়ে যাবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।

প্রসঙ্গত, এদিন সাত সকালে বালুরঘাটে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করতে বেরিয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং দফা বৃদ্ধি নিয়ে তাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে। আমরা খুশি। কিন্তু প্রত্যেকটা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। তা না হলে বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া সম্ভব নয়।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, বিজেপি কিন্তু এত সহজে হাল ছেড়ে দেওয়ার জায়গায় নেই। গেরুয়া শিবির এবার ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করবে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলকে উৎখাত করাই তাদের প্রধান টার্গেট। তাই নির্বাচন যাতে নির্বাচনের মত করে হয়, সেটাই চাইছে গেরুয়া শিবির। কারণ পুলিশ দিয়ে এতদিন নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে সমস্ত জায়গায় ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক জায়গায় বিজেপি জয়লাভ করলেও, রাতের অন্ধকারে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে গণনা কেন্দ্র পর্যন্ত কারচুপি করেছে এই রাজ্যের শাসক দল। তাই বাধ্য হয়েই এবার প্রত্যেকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলে নির্বাচন পদ্ধতি যাতে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে হয়, সেই বিষয়টি নিয়ে জোরালো আওয়াজ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর এতেই এই রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের বড় বড় ডায়লগ এবং গ্যাস বেলুনের হাওয়া চুপসে গেল। কারণ তারাও ভালো মত জানে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি বুথের মধ্যে থাকে, তাহলে তাদের পক্ষে মানুষকে ভয় দেখানো, তৃণমূলে ভোট দেওয়ানোর জন্য চাপ দেওয়া, এই সমস্ত কোনো চালাকি আর কাজ করবে না বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে যে প্রত্যাশা রেখেছিল, তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তারা কোনো বাড়তি অ্যাডভান্টেজ চায়নি। তারা শুধু চেয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে যাতে নির্বাচন পদ্ধতি শান্তিপূর্ণভাবে হয় এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যাতে এখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করানোর দিকে নজর দেয়। আর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার মধ্যে দিয়েও পরিষ্কার যে, তারা বাংলায় কোনোরকম সন্ত্রাস বরদাস্ত করবে না। এমনকি গোটা দেশের কোথাও কোনো অভিযোগ পেলে যে সাথে সাথেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস চেয়েছিল, বাংলায় যাতে এক দফায় ভোট হয়। কারণ তাহলে তাদের পক্ষে বিশৃঙ্খলা করে ভোটে কারচুপি করা অনেকটাই সহজ হবে। তবে তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়ে সাত দফায় ভোট করানোর পাশাপাশি প্রত্যেকটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার চিন্তা ভাবনা করেছেন নির্বাচন কমিশন। আর এতেই চোখে সর্ষে ফুল দেখতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!