এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃনমূলের এটাই রুচি, প্রার্থী হয়েই বুঝিয়ে দিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা! কটাক্ষ বিজেপির!

তৃনমূলের এটাই রুচি, প্রার্থী হয়েই বুঝিয়ে দিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা! কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল কংগ্রেস যে পরিমাণ সন্ত্রাস করে, যেভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার করে, যেভাবে ভোট লুট করে, আর তাতে প্রশ্রয় দেয় পুলিশ, সেটা গোটা রাজ্যের মানুষ জানে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর আরও প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে, এই রাজ্যের পুলিশ কিভাবে তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে! তা না হলে মালদার রেঞ্জের আইজি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করে প্রার্থী হতেন না প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যায়, তিনি নাকি সাংস্কৃতিক পরায়ন মানুষ। কিছু কিছু টিভি সিরিয়ালেও নাকি তিনি অভিনয় করেছেন। নাটকের সঙ্গেও যুক্ত। কিন্তু এত কিছুর পর তার মুখ থেকে একি ধরনের কথা শোনা গেল?

শুধুমাত্র তৃণমূল দলে যোগ দিয়েছেন বলেই কি তার এই ধরনের রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটলো? নিজেকে তৃণমূল দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্যই গিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল উত্তর মালদার তৃনমূল প্রার্থীকে? প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বক্তব্য নিয়ে কিন্তু এমনই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বলা বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তার দলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের ভোট করার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাদের অপছন্দ হলেই তারা  আক্রমণ করতেও দুবার ভাবেন না। কিন্তু একজন প্রাক্তন পুলিশকর্তা, তিনি অন্তত তৃণমূলের প্রার্থী হলেও আইন কানুন কিছুটা হলেও মানবেন, এমনটাই ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু না। তৃণমূল দলে যিনিই যোগদান করুন না কেন, তিনি যত বড় মাপের ব্যক্তিই হোন না কেন, তাকে তার রুচি ভাঙতেই হবে। তাকে তার কুরুচির পরিচয় দিতেই হবে। যা এদিন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা দিলেন বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা। কি বলেছেন তিনি?

প্রসঙ্গত, এদিন উত্তর মালদায় একটি কর্মী সভায় উপস্থিত তৃনমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “নির্বাচন সদনকে এই স্কুলেই বসিয়ে রাখতে হবে। ভালো করে জল টল দিয়ে দেবেন, অযত্ন করবেন না। শুধু বলবেন, প্রসূন বন্দোপাধ্যায় মাঠে নেমেছে। খেলা হবে।” অর্থাৎ নিজের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা সূক্ষ্ম হুমকি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে দেওয়ার চেষ্টা করলেন এই তৃণমূল প্রার্থী। যেমনটা তার নেত্রী করেন, তার দলের যুবরাজ করেন, কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেন না তারা, ঠিক তেমনই তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খবরের শিরোনামে থাকার জন্য প্রসূনবাবুর এই পদ্ধতি বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকে আবার বলছেন, বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে এই তৃণমূল সরকারের দলদাস হিসেবে অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শুরু করে মালদার পুলিশকর্তা হিসেবে তিনি বারবার এই সরকারের গুনগান করে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, তিনি তৃণমূল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পান না। আর সেই কারণেই দলদাস পুলিশের প্রমাণ দিয়ে তিনি তার পোস্ট থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার মুখ থেকে এই ধরনের কথাবার্তা বের হবে, এটাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু কমিশনকে এই ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একজন প্রাক্তন পুলিশকর্তা, তিনি যদি এইভাবে কমিশনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন এবং আইন ভাঙ্গার চেষ্টা করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি‌‌। তাদের দাবি, এই সমস্ত কথা বলে লাভের লাভ কিছু হবে না। প্রসূনবাবু যদি ভেবে নেন যে, এসব বলে নির্বাচন কমিশন ভয় পেয়ে যাবে, তৃণমূলকে ছাড় দেবে, তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়, এবার তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে প্রয়োজনীয় সবকিছু ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেছেন। আর তাতেই ভয় পেয়ে গিয়ে উত্তর মালদার তৃণমূল প্রার্থী হুমকির পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের কড়া নজর বাংলার প্রতি থাকবে‌‌। তাই এসব হুমকি দিয়ে মানুষের মনে ভয় স্থাপন করার চেষ্টা ফলপ্রসু হবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!