এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বীরভূমে তৃণমূলের ঘর ভাঙলো বিজেপি, এবার কি দিদির ক্ষোভের মুখে পড়বেন অনুব্রত?

বীরভূমে তৃণমূলের ঘর ভাঙলো বিজেপি, এবার কি দিদির ক্ষোভের মুখে পড়বেন অনুব্রত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 এর স্লোগান তুললেও তার সৈনিকেরা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। নির্বাচনের মরসুমে বারবারই খবরের শিরোনামে উঠে আসা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাপটের সঙ্গে নকুলদানা দিয়ে ভোট করানোর কথা বললেও তার জেলার দুটি লোকসভা আসনে তিনি দলকে জিতিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভোট অনেকটাই কমেছে। কিন্তু ফের বীরভূমের সবকটি আসন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবেন বলে প্রিয় দিদিকে কথা দিয়েছেন ভাই কেষ্ট।

বুথস্তরের সংগঠনের উপর সব থেকে বেশি জোর দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল,প্রতি বুথে সংগঠন তৈরি করে আরো বেশি যাতে ভোট আসে, তার জন্য চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়, তাহলে মানুষের কাছে গিয়ে শুধরে নিতে হবে। দল কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে না। তাই কেউ দুর্নীতি করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এই দাবিও করেছেন। ক্ষমা চেয়েছেন মানুষের কাছে আবার বিরোধী দলকে হুঁশিয়ারি দিতেও ছাড়েননি।

রাজ্যের অন্যত্র বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অনেকে। কিন্তু সে আনন্দ মাটি করে এদিন এবার তৃণমূলের সেই চিন্তাকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে সেই বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার বিজেপি নলহাটি ২ বি মন্ডলের সভাপতি অনিমেষ মন্ডলের তত্বাবধানে ২০০ জন তৃনমূল, সিপিআইএম ও কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করলেন। জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ৷ সভামঞ্চে উপস্থিত জেলা নেতৃত্বের একাংশ ৷

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ জোর করে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গেছে। এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি , “চলতি মাসে এনারা দলবদলের জন্য আমার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের মান্যতা দিয়েই তাদের দলে নেওয়া হয়েছে।”

তবে প্রাক্তন দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বিজেপির দিকে টানা হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হলেও তা সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছেন দলবদলকারী তৃণমূল নেতা নেত্রীরা। তাদের দাবি, “চাপের কাছে বা ভয়ের কাছে নতিস্বীকার করে নয়। নরেন্দ্র মোদির আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।”

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বীরভূমে যেভাবে বিজেপি মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, তাতে আতঙ্কিত ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে এবার বীরভূমকে পদ্মফুল মুক্ত করতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট কোনো নিদান দেন কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!