এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > সিঙ্গুরে কি এবার বড় ভাঙ্গন শাসকদলে? রাজনৈতিক গুঞ্জন চরমে

সিঙ্গুরে কি এবার বড় ভাঙ্গন শাসকদলে? রাজনৈতিক গুঞ্জন চরমে

রাজ্যে বিগত বামফ্রন্ট সরকারকে সরিয়ে রাজ্যের শাসকদল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠিত করার পিছনে সিঙ্গুর নামের মাহাত্ম্য অনস্বীকার্য। কিন্তু এই সিঙ্গুরের কিছুদিন আগে শাসকদলে ভাঙ্গন ধরেন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা মুকুল রায়, তাঁর হাত ধরে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের বেশ কিছু পরিচিত মুখ গেরুয়া শিবিরে যান। তার উপরে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের দুই প্রধান মুখ, বর্তমানে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও হারিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দুজনকেই মন্ত্রীত্ত্ব খোয়াতে হয় দ্বিতীয় তৃণমূল মন্ত্রীসভায়। এর মাঝেই সিঙ্গুরে শাসকদলের অনৈক্যের ছবিটা আরেকবার সামনে এল।
২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গুরের বাজেমালিয়ার কিশোরী তাপসী মালিকের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তাপসীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলে জমি-আন্দোলনকে সে সময়ে জোরদার করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে বছরের এই দিনটি ‘তাপসী মালিক দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে তৃণমূল। সামনে পঞ্চায়েত ভোট, আর তাই তৃণমূলের হুগলি জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস এ বার সকলকে এককাট্টা হয়ে ওই স্মরণ অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল শাসকদলের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী অসীমা পাত্র, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন। কিন্তু ডাক পাননি স্বয়ং বেচারাম মান্না, আর তাই তিনি সিঙ্গুরে দলের ১৪ জন প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে আলাদা ভাবে এসে তাপসী মালিকের মূর্তিতে মালা দিয়ে যান। আর এরফলেই রাজনৈতিক গুঞ্জন চরম হয়েছে, তাহলে কি এবার বড়সড় ভাঙন ধরতে চলেছে সিঙ্গুরে? কেননা সিঙ্গুর নিয়ে শাসকদলের অনৈক্যের ছবিটা এখন অতীব স্পষ্ট, আর মুকুল রায়ের মত নেতারা সেই পরে পাওয়া চোদ্দ আনা সুযোগটা কাজে লাগাবেন না হতে পারে না। তবে এই নিয়ে শাসক বা বিরোধী কোনো নেতারই কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি, যার ফলে জল্পনা আরো বেড়েছে। এখন দেখার এই জল্পনা বাস্তবের কোনো রূপ পায় নাকি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব ক্যারিশমায় আবার সব ঢেকে দিয়ে সিঙ্গুর শাসকের গড় করে রাখেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!