এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উচ্চমাধ্যমিকে নিয়োগে 50% অভিযোগ! বড়সড় চক্র যোগ নিয়ে জল্পনা তীব্র!

উচ্চমাধ্যমিকে নিয়োগে 50% অভিযোগ! বড়সড় চক্র যোগ নিয়ে জল্পনা তীব্র!

 

উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকা নিয়ে আজই শেষ অভিযোগ জমা করার দিন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। ফলে আজ শেষ দিন হওয়ায় সেই অভিযোগের সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে যেভাবে এই কদিনে ছয় হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে, তাতে রীতিমতো ঘাম ঝরছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের। তবে অভিযোগপত্রে নানা বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও কমিশনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পাল্টা যুক্তি খাড়া করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কমিশনের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগপত্রগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আগে থেকে লেখা এবং এক ফরম্যাটে এসেছে। যে ক্ষেত্রে অভিযোগের 90% হুবহু এক। প্রার্থী শুধুমাত্র নিজের নাম এবং রোল নম্বরটি বসিয়ে দিয়েছেন। আমাদের আশঙ্কা কোনো গোষ্ঠী এটা নিয়ে ব্যবসা ফেদেছে। গোটা প্রক্রিয়াকে ভেস্তে দিতে একটা চক্র কাজ করছে।”

কিন্তু সত্যিই কি তাই! 5-6 হাজারের মতো অভিযোগ যেখানে জমা পড়ল, সেখানে কি সত্যিই আগে থেকে পরিকল্পনা করে কেউ বা কারা শুধুমাত্র বদনাম করার জন্যই এই কাজ করতে পারে! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত অভিযোগ গুলো জমা পড়েছে, তার মধ্যে টেটে প্রাপ্ত নম্বরের ওয়েটেজ নিয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে ময়দানে নামতে দেখা গেছে বামেদেরকেও। টেটের ওয়েটিং নিয়ে বড়সড় গড়মিল রয়েছে বলে দাবি করার পাশাপাশি কেন মাল্টিপল রাঙ্কিং রাখা হয়নি! সেই বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। অন্যদিকে মেধাতালিকার বিভিন্ন অস্বচ্ছতার বিষয় তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও।

তবে সেই সময় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, কোনো জায়গায় কোনো অস্বচ্ছতা নেই। তবে তারপর অভিযোগ জমা নেওয়ার কথা বলায় এখনও পর্যন্ত আজ অভিযোগ জমা করার শেষ দিনের আগে প্রায় ছয় হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়ায় কমিশন যে স্বচ্ছতার কথা বলছে, তা কতটা সঠিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

এদিন এই প্রসঙ্গে এসএসসি চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, “বাড়তি কর্মী এনে অভিযোগের ধরণ অনুযায়ী পৃথকীকরণের কাজ চলছে। যেসব অভিযোগগুলো একই ধরনের, সেগুলোকে একসঙ্গে রাখা হচ্ছে। শুক্রবারের পর থেকে সেগুলো নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে এত অভিযোগের উত্তর ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা একই ধরনের অভিযোগের একটিই উত্তর দেব। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। তার ব্যাখ্যা আমাদের ওয়েবসাইটে থাকবে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!