এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর তীব্র দ্বন্দ্বে আতান্তরে পড়েছেন এঁরা! জানুন বিস্তারিত

রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর তীব্র দ্বন্দ্বে আতান্তরে পড়েছেন এঁরা! জানুন বিস্তারিত

 

কথায় আছে, “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, আর উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনের ঘটনা নিয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে নানা ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর তরজা এখন যেন প্রবল অসুবিধায় ফেলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বনাম রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের তরজায় এখন নিজেদের ছুটি নিয়ে কার্যত সন্দিহান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, ছুটি কার কাছে চাইতে হবে, তা নিয়েও এখন প্রবল সমস্যায় পড়েছেন তারা।

জানা গেছে, পুজোর ছুটির আগে উচ্চশিক্ষা সংসদের বৈঠকে এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। যেখানে তিনি বলেন, “ছুটি নিয়ে কার কাছে আবেদন করতে হবে!” তবে সেই সময় এই ব্যাপারে ঠিকমতো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি শিক্ষামন্ত্রী।

উল্টে গোটা বিষয়টি উপাচার্যদের তাই তারা এটা ঠিক করে নেবেন বলে জানিয়ে দেন পার্থবাবু। কিন্তু হঠাৎ কেন উপাচার্যরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই বিষয়টি তুললেন! তাহলে কি তারা ছুটি নেওয়ার পদ্ধতি জানতেন না!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, ছুটি নিতে গেলে উপাচার্যদের নিয়মমাফিক আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপাল এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের কাছে আবেদন করতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকে শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকে একটি চিঠি দিয়ে তার একটি প্রতিলিপি আচার্যকে দিয়ে দেন।

এতদিন এমনটা হয়ে আসলেও যেভাবে আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বৈরথ লক্ষ্য করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা, তাতে তারা সাংবিধানিক প্রধান নাকি মন্ত্রীমহোদয়ের কথা রাখবেন, তা বুঝতে পারছিলেন না। আর তাইতো বৈঠকে দক্ষিণবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তার কৌতূহলের কথা জানতে চান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক উপাচার্য বলেন, “ছুটি মঞ্জুর নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। আবেদন করলে তা রাজভবনে পড়ে থাকছিল। তাই ওই বৈঠকে অনেক উপাচার্য এই বিষয়টি জানতে চাইছিলেন। তাই তাদের হয়ে দক্ষিণবঙ্গের এক উপাচার্য মন্ত্রীর কাছে সেই প্রশ্ন তোলেন।” কিন্তু সেক্ষেত্রেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেইভাবে কোনো মন্তব্য না করায় এখন উপাচার্যরা তাদের ছুটি নিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন বলে দাবি একাংশের। তাই তারা সকলেই চাইছেন, অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রী বনাম রাজ্যপালের এই দ্বন্দ্ব বন্ধ হোক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!