এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর পাতা ফাঁদে পা ! কুনালের জন্যই কি বিপদে তৃণমূল ? সোচ্চার বিজেপি

শুভেন্দুর পাতা ফাঁদে পা ! কুনালের জন্যই কি বিপদে তৃণমূল ? সোচ্চার বিজেপি


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই তার পারিবারিক সম্পত্তি থেকে শুরু করে তার ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলতে দেখা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমনকি বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আকার, ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, অধিকারী পরিবার দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু মুখে বড় বড় কথা বললেও কোনো সময়ই সেই অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে বা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তেমন কোনো অর্থনৈতিক দুর্নীতি বা কেলেঙ্কারি তথ্য সামনে আনতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস।

অনেকে বলেন, যদি সুযোগ থাকত, তাহলে এর অপব্যবহার করত না তৃণমূল সরকার এবং তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ দিয়ে আটকে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, তাতে তার পরিবারের বিরুদ্ধে যদি ছিটেফোঁটাও দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ এই সরকারের কাছে থাকত, তাহলে আজকে হয়ত শুভেন্দু অধিকারীর জায়গা হত শ্রীঘরে। কিন্তু কোনোভাবেই তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না বুঝেই শুধু মুখেই বড় বড় কথা বলতে দেখা যাচ্ছে শাসকদলের নেতা নেত্রী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে সবাই সবকিছু বুঝলেও, এবার কি সেই শুভেন্দু অধিকারীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নিজের তো বটেই, এমনকি নিজের দলেরও বিপদ ডেকে আনলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ? সমালোচক মহলের একটি অংশ কিন্তু তেমনটাই প্রশ্ন করছেন।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই একের পর এক নেতা নেত্রী, যারা তৃণমূলের রত্ন হিসেবে পরিচিত তাদের অনেকেই জেলে রয়েছেন। সর্বশেষ সংযোজন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করে বুঝে গিয়েছেন, কান যেভাবে সামনে আসছে, তাতে মাথার ধরা পড়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আর এই পরিস্থিতিতে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। আর এই অবস্থায় এবার নিজের দলের হয়ে ব্যাটন করতে গিয়ে কুনাল ঘোষ রীতিমতো সময় বেঁধে দিলেন। আগামী 24 ঘন্টার মধ্যে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের আর্থিক তছরুপের বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ সামনে আনা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বিজেপির বক্তব্য, কুনাল ঘোষ এই কথা বলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলেন। শুভেন্দু অধিকারী, যিনি তৃণমূলকে প্রতিমুহূর্তে চাপে ফেলছেন, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিয়েছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনেক সুযোগ ছিল, শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে খেলার মত। তার বিরুদ্ধে যে আর্থিক দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খুব ভালো মত জানেন। যার কারণে তিনি এখনও পর্যন্ত সেই শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করার জন্য সেরকম কোনো বিষয় সামনে আনতে পারেননি। ফলে এইরকম একটা পরিস্থিতিতে কুনাল ঘোষ 24 ঘন্টা সময় দিয়ে হাসির পাত্র হবেন, এটাই স্বাভাবিক। দিনের শেষে দেখা যাবে যে, একটা খেলো বিষয়কে সামনে এনে স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারকে, শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারকে বদনাম করে নিজেরাই কালিমালিপ্ত হবেন। আদতে কুনাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যদি কোনো দুর্নীতির অভিযোগ করেন, তাহলে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠবে। রাজ্যের মানুষ একটাই কথা বলবে, চালুন হয়ে সুচের ফুটো যত কম ধরা যায়, ততই ভালো। তার বদলে তৃণমূল অন্তত নিজেদের দিকে নজর দিক বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকটা সময় প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন। আর এখন তো সেই পরিমাণটা আরও বেড়ে গিয়েছে। কারণ আর যাই হোক, বাম-কংগ্রেসের মত সেটিং করা বিরোধী দল বিজেপি নয়। চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাকে প্রতিহিংসার জালে জড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি সময় মালা জপ করতে শুরু করেছেন। তবে দুর্নীতি থেকে শুরু করে পুলিশ কেস, কোনো কিছু দিয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই এবার নিজের দলের সেজো, মেজো নেতাদের নামিয়ে খবরের শিরোনামে থাকার চেষ্টা শাসক দলের। তবে এসব করে আর কিছুই হবে না। আখেরে মুখ পুড়বে তৃণমূলের সেই স্বনামধন্য মুখপাত্রের। যিনি 24 ঘন্টা সময় দিয়ে অধিকারী পরিবারের দুর্নীতির মুখোশ খুলে দেবেন বলে বড় বড় দাবি করেছেন, আদতে তার মুখ আর মুখোশ যেমন আলাদা হয়ে যাবে, ঠিক তেমনই তার দল তৃনমূল কংগ্রেস আরও নাস্তানাবুদ হবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!