এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার মুখ শুভেন্দুই, বড় দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বিজেপির! উজ্জীবিত কর্মীরা!

বাংলার মুখ শুভেন্দুই, বড় দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বিজেপির! উজ্জীবিত কর্মীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বঙ্গ বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারীকে কেন সাংগঠনিক গুরু দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে দলের মধ্যেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। মিনমিনে নেতাদের দায়িত্ব না দিয়ে বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিলেই রাজ্যে তৃণমূল আরও বেগ পাবে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। যারা মন থেকে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে চান, যারা তৃণমূলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে চান, সেই সমস্ত কর্মীরা প্রথম পছন্দ হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকেই বেছে নিয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে দলের মধ্যেই। বাংলায় পরিবর্তন করতে কি সত্যিই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগ্রহী, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ শুভেন্দু অধিকারীকে শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতা করে সংগঠনে কোনো দায়িত্ব না দেওয়ার ফলে অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর বিরক্ত। তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য হীরে চিনতে ভুল করেনি। সামনেই ছত্রিশগড় বিধানসভার উপনির্বাচন। আর সেখানেই এবার শুভেন্দু অধিকারীকে পাঠিয়ে বাঙালি ভোটব্যাংক ধরে রাখার কৌশল নিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে ছত্রিশগড়ে গিয়ে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির হয়ে ভোট প্রার্থনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা। যা দেখে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীরা অত্যন্ত উজ্জীবিত।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ছত্রিশগড়ে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে বিশেষ করে বাঙালি এলাকায় ভোট প্রচার করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। আর এই চিত্র সামনে আসার পরেই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের নেতা কর্মীরা অত্যন্ত খুশি। যারা শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত, যারা তৃণমূলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে নীচু তলায় লড়াই করছেন, তারা বলছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক লোককেই বেছে নিয়েছে। বাংলায় হয়তো বেশ কিছু কারণে এখনই শুভেন্দু অধিকারীকে তারা সাংগঠনিক দায়িত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু বঙ্গ বিজেপিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় নেতৃত্তের কাছে প্রথম পছন্দের, তা অন্য রাজ্যে তাকে পাঠানোর মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কারণ বিজেপিতে এই ট্রাডিশন লক্ষ্য করা গিয়েছে যে, আসাম থেকে শুরু করে ত্রিপুরা, সেখানে যারা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের প্রধান পছন্দের, তাদেরকে বিভিন্ন রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করার কাজে পাঠানো হয়েছিল। আর পরবর্তীতে সেই সমস্ত রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে যে নেতাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা অন্য রাজ্যে পাঠিয়েছিল, তাদেরকেই প্রধান মুখ করে সেখানে সরকার পরিচালনা করছে গেরুয়া শিবির। তাই এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি অদূর ভবিষ্যতে ক্ষমতা এলে শুভেন্দু অধিকারীর ভাগ্যই জ্বলজ্বল করছে বলেই মত একাংশের।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধেও লড়াই করা যায়। তৃণমূলকেও বেগ দেওয়া যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেত্রীকেও হারানো যায়। আর এটা শুভেন্দু অধিকারী বলেই সম্ভব হয়েছে। প্রতিমুহূর্তে তৃণমূলকে কি করে নাস্তানাবুদ করতে হয়, তা তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। বিজেপিও বুঝতে পেরেছে যে, শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা পশ্চিমবঙ্গের বুকে কার্যত অসম্ভব। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শুধু বাংলার নেতা হিসেবে নয়, এবার দেশের যে সমস্ত জায়গায় বাংলা এবং বাঙালির ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে, সেখানেও শুভেন্দু অধিকারীর মুখকে কাজে লাগাতে চাইছে। তাই ছত্রিশগড়ের মত রাজ্যেও শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব অনুভব করে সেখানে তাকে প্রচারের কাজে পাঠিয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে আখেরে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পেল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন বিজেপির যারা কর্মী, যারা দাঁতে দাঁত চেপে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একনিষ্ঠ হয়ে লড়াই করেছিলেন, তারা প্রকৃত নেতা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তবে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পর তাকেই অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। কর্মীদের মধ্যে থেকেও আওয়াজ উঠছে, এবার দায়িত্ব দেওয়া হোক শুভেন্দুবাবুকে। তবে বিজেপি সর্বভারতীয় দল হওয়ার কারণে তাদের বেশ কিছু সংগঠনের পরিবর্তন করতে হলে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই হয়ত এখনই শুভেন্দুবাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তবে অদূর ভবিষ্যতে এই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির বড় সম্পদ এবং ভরসার কেন্দ্র হতে চলেছে, সেই ব্যাপারেও আর দ্বিমত নেই। যার ফলে প্রবল খুশি বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীরা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!