এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রেশন কান্ডে আরও বিপাকে জ্যোতিপ্রিয়, কোটি কোটি টাকা নিয়েছে তৃনমূল! শুভেন্দুর বক্তব্যে চাপে মমতা!‌

রেশন কান্ডে আরও বিপাকে জ্যোতিপ্রিয়, কোটি কোটি টাকা নিয়েছে তৃনমূল! শুভেন্দুর বক্তব্যে চাপে মমতা!‌


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের সমস্ত ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে গোটা রাজ্যকে লুটেপুটে খাওয়ার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষা দুর্নীতি থেকে শুরু করে চাকরি দুর্নীতি এবং সর্বশেষ সংযোজন রেশন বন্টন দুর্নীতি। ভবিষ্যতে যে আরও একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি বেরোবে না, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তুলে এটাও বলা হচ্ছে যে, তৃণমূল মানেই চোর। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর তারপর নানা মহল থেকে অনেক তথ্য সামনে আসছে। তবে এবার সেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে এমন এক তথ্য দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যা অস্বস্তিতে ফেলে দেবে মুখ্যমন্ত্রীকেও। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “বালু” বলে পরিচিত, তিনি যেভাবে তৃণমূলকে এই দুর্নীতির টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, সেই তথ্য এবার ফাঁস করে দিলেন শুভেন্দুবাবু।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। আর সেখানেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূমিকা নিয়ে বড় তথ্য সামনে তুলে ধরেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আগে কলেজ স্ট্রিটে ছেড়া প্যান্ট পড়ে ঘুরে বেড়াতেন। এখন তার হাত ধরে গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রত্যেকটা প্রার্থীকে 1 কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তর ২৪ পরগনায় যেহেতু সবথেকে বেশি আসন রয়েছে, তাই সেখানেও প্রত্যেকটি প্রার্থীকে 20 লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। মমতা ব্যানার্জি সবটাই জানেন।”

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী তো দীর্ঘদিন তৃণমূলের সঙ্গে ঘর করেছেন। তাই তিনি সব থেকে বেশি তৃণমূলের গোপন খবর জানেন। ফলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই তিনি যে সমস্ত তথ্য তুলে ধরছেন, তাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেওয়া ভুল হবে। গোটা বিষয়টি তদন্তের অধীনে রয়েছে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য নিয়ে অবশ্যই যাচাই করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত কেন্দ্রীয় সংস্থার বলেই মত একাংশের।বিজেপির দাবি, দুর্নীতির টাকা দিয়েই গোটা তৃণমূল দল পরিচালিত হয়। আজকে এটা আর নতুন করে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে না। সাধারণ মানুষও বুঝে গিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা, রেশন বন্টন দুর্নীতির টাকা, মানুষের উন্নয়নের টাকায় তৃণমূল কি করে ফুর্তি করেছে! জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন হয়ত গ্রেফতার হয়েছেন। তৃণমূল হয়ত তার মাথা থেকে দুদিন পর হাত সরিয়ে নেবে। কিন্তু তৃণমূলকে দুর্নীতির টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূমিকাও কম ছিল না। তাই শুধু তাকে ধরলে হবে না, যাদের কাছে সেই দুর্নীতির টাকা পৌঁছেছে, তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা উচিত। তাহলেই মানুষ সুবিচার পাবেন এবং ডাকাত রানীর নাটক শেষ হবে। তাই অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যে দুর্নীতি সেই দুর্নীতি নিয়ে খোঁজখবর করা উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কাদের কাছে টাকা পৌঁছেছে, তা নিয়ে তাদের আরও বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তাহলেই তৃণমূলের রাতের ঘুম উড়বে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল দলের সবকিছুই চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামত। তার কথার বাইরে যাওয়ার মত ক্ষমতা নেই কারোরই। সেখানে দাঁড়িয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এত বড় দুর্নীতি করলেন, অথচ তার বিন্দু বিসর্গ জানলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এটা হজম করতে চাইছেন না কেউই। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর কথাকে সকলেরই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। মানুষের খাদ্য বন্টনের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিত। তাই তৃণমূলের কাছেই যদি সেই দুর্নীতির টাকা পৌঁছে থাকে, তাহলে আসল মাথাকে অবিলম্বে ধরতে হবে। আর এতে আখেরে বিড়ম্বনায় পড়বেন সততার প্রতীকের প্রতিমূর্তি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!