এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লিতেও কি ঔদ্ধত্য, বিজেপির বিরুদ্ধে চরম উস্কানি মমতার মন্ত্রীর! এরা নাকি গনতন্ত্র রক্ষা করবে!

দিল্লিতেও কি ঔদ্ধত্য, বিজেপির বিরুদ্ধে চরম উস্কানি মমতার মন্ত্রীর! এরা নাকি গনতন্ত্র রক্ষা করবে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দিল্লিতে নাকি গণতন্ত্র নেই! আর সেই দিল্লিতে দাঁড়িয়ে আঞ্চলিক তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলছেন। এমনকি বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে উস্কানি দিতেও ছাড়ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অরূপ বিশ্বাস। যারা বাংলায় প্রতি মুহূর্তে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন, বিজেপি নেতাদের ওপর কেস দেন, তাদেরকে জেলে পুরে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তারা দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়েও বিজেপিকে এই ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। আর দিল্লী বলেই এটা সম্ভব। যদি বাংলায় বিজেপি নেতারা গিয়ে তৃণমূলের কোনো নেতাকে হুমকি দেওয়া তো দূরের কথা, কোনো আক্রমণ করতেন, তাহলে তাদের পেছনে পুলিশকে যেভাবে লেলিয়ে দিতেন এই তৃণমূলের নেতারা। যা না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। তাই অরূপ বিশ্বাসের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লির যন্তর মন্তরে বাংলার প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “বাংলাতে যখনই কোনো বিজেপি নেতা যাবেন, তখনই সাধারণ মানুষ তাদের তাড়া করবেন।” আর অরূপবাবু কোথা থেকে এই কথা বলছেন? দিল্লির মাটি থেকে। আর এই দিল্লির মাটিতে বিজেপির ঘাঁটি সবথেকে শক্তিশালী। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশাসন কিন্তু অরূপবাবুর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাদের ভাষণ দিতে বাধাদান করেনি। কিন্তু এটা যদি বাংলায় কোনো বিজেপি নেতা বলতেন, তাহলে তার সঙ্গে কি করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ?

একাংশের মতে, দিল্লি আর পশ্চিমবঙ্গ এক নয়। দিল্লিতে বিজেপি সরকার রয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেখানে সভা করতে পারছে আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা বিজেপির বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলছে। কিন্তু প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিজেপি নেতারা এক সেকেন্ডেই তৃণমূল নেতাদের জেলে পুরে দিতে পারতেন। কিন্তু তা করা হয়নি। যা বাংলায় প্রতিমুহূর্তে করেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। তাই দেশে গণতন্ত্র নেই বলে তৃণমূলের যারা গলা ফাটাচ্ছেন, তারা অরূপ বিশ্বাসের এই মন্তব্যের পরেও তাদের বিরুদ্ধে যখন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না, তখন তা দেখে অন্তত কিছুটা হলেও শিক্ষা নিক। বুঝুক যে, গোটা দেশের গণতন্ত্র কিভাবে চলছে! আর পশ্চিমবঙ্গে সেই গণতন্ত্রকে কিভাবে হত্যা করা হচ্ছে! কটাক্ষ করে এমনই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচি করতে পারার পর অন্তত তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু এতকিছুর পরেও তৃণমূল নেতাদের মধ্যে লজ্জাবোধ নেই। তাই নিজে হিরো সাজতে গিয়ে এমন এক কথা বলে ফেললেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। একজন মন্ত্রী এই ধরনের উস্কানি কি করে দিতে পারেন? এত কিছুর পরেও কেন শিক্ষা হয় না তৃণমূল কংগ্রেসের! তাহলে কি গণতন্ত্রকে বাংলা থেকে সব রকম ভাবে হত্যা করেই বিদায় নেওয়ার পথে হাটছেন শাসক দলের নেতারা? অরূপবাবুর বক্তব্যের পর সেই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!