দিল্লি পুলিশ নাকি স্যালুট দেবে তৃনমূলকে! ফিরহাদের মুখে আষাঢ়ে গল্প! এরা পারেও বটে! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 3, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতারা দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ধর্না দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে নানা মহলের তরফে কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে তৃণমূলকে। কিন্তু এবার যন্তর মন্তরে সেই ধর্না কর্মসূচিতে এমন একটি কথা বলে ফেললেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, যা শুনে হাসি থামাতে পারছেন না রাজনৈতিক সমালোচকরা। ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ববি হাকিম বলছেন, একদিন নাকি দিল্লী পুলিশ তাদের স্যালুট দেবে। হ্যাঁ, রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। কিন্তু যে দল পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে যাদের গ্রহণযোগ্যতাটুকু নেই, তাদের নেতা কি করে এই ধরনের স্বপ্ন দেখছেন? প্রসঙ্গত, দিল্লিতে তৃণমূলের প্রথম কর্মসূচির দিন পুলিশের পক্ষ থেকে একটা হুইসেল বাজাতেই সব নেতারা ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আর যন্তর মন্তরে যখন সেই বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মসূচি করছে, তখন সেখানে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি বললেন, “আজকে দিল্লি পুলিশ দৌড় করাচ্ছে। একদিন এই দিল্লী পুলিশ আমাদেরকে স্যালুট করবে।” কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব হবে? আষাঢ়ে গল্প শোনাতে শোনাতে আর কত নিচে নামবেন তৃণমূলের নেতারা! গরম গরম ভাষণ দিয়ে হিরো হওয়ার চেষ্টা হয়তো করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু কিছু কিছু বক্তব্য না রাখলেই ভালো। তিনি যখন এই বক্তব্য রাখছেন, তখন তার সেই মহতী বক্তব্য নিয়ে হাসি থামাতে পারছেন না সমালোচকরা। তারা বলছেন, আঞ্চলিক দলের কত বড় বড় স্বপ্ন। যারা বাংলায় দুর্নীতি করে গোটা রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছেন, বাংলার মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছেন, তারা এখন দেশ দখলের স্বপ্ন দেখছেন। বলা বাহুল্য, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে নাকি তাদের অনেক বড় বড় মেরুদন্ড রয়েছে। তৃণমূল নেতারা বাংলায় এরকম অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু দিল্লি পুলিশ একটা হুইসেল বাজাতেই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আর তা দেখেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এদের দ্বারা আর যাই হোক, বিরোধী রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আর সেই দলের নেতা দিল্লির মাটিতে প্রতিবাদ সভা থেকে একথা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, আগামী দিনে দিল্লির পুলিশ তাদেরকে স্যালুট করবে! আসলে আর কিছু নয়। এসব কথা বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তৃণমূলের সমস্ত নেতারাই হিরো হওয়ার চেষ্টা করছেন। কে কত বেশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরতে পারেন দেশের রাজনীতিতে, সেই নিয়েই তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। আর সেই প্রতিযোগিতার মধ্যেখানে ফিরহাদ হাকিম এমন একটা কথা বলে দিলেন, যা শুনে তৃণমূলের একটা অংশও ব্যাপক আলোচনা করতে শুরু করেছেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃনমূল নেতারা এখন আষাঢ় গল্প শোনাতে ব্যস্ত। ববি হাকিম হয়তো ভুলে গিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বাম শাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তাদের ঠিক কত সময় লেগেছে। আর সেই আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন ভারতবর্ষে বিজেপিকে ক্ষমতারচ্যুত করার স্বপ্ন দেখছেন। কিছু কথা রাজনীতিতে ভেবেচিন্তে বলতে হয়। কিন্তু যেভাবে সেই সীমার ঊর্ধ্বে উঠে যাচ্ছেন তৃণমূলের মন্ত্রীরা, তা আখেরে তৃণমূলেরই ক্ষতি করছে। গোটা দেশের সামনে আরও হাস্যাস্পদ হয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি একাংশের। তাহলে কি জেনে শুনেই এইরকম কাজ করছেন ফিরহাদ হাকিমের মতো নেতারা? দিনের শেষে তেমনটাই প্রশ্ন সমালোচক মহলের। আপনার মতামত জানান -