এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপির গ্রূপে শাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে তীব্র বিতর্কে অগ্নিমিত্রা পাল কি বললেন শেষ পর্যন্ত?

বিজেপির গ্রূপে শাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে তীব্র বিতর্কে অগ্নিমিত্রা পাল কি বললেন শেষ পর্যন্ত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –পোশাকের জগতে রীতিমতো প্র্রসিদ্ধ অগ্নিমিত্রা পলের নাম।ফ্যাশন ডিজাইনার  হিসেবে তাঁর খ্যাতি জগৎজোড়া। খেলাধুলোর ময়দান থেকে শুরু করে বিনোদনের রুপোলি পর্দা পর্যন্ত তাঁর ডিজাইনকৃত পোশাকের সগর্বে জয়যাত্রা । তাঁর কেতাদুরস্ত পোশাকের মূল্য বহু,  কিন্তু  তার পরিধানে আভিজাত্যও যে বাড়ে অনেকটাই, তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

যাই হোক নিজের পেশা, তথা পেশাদারি চমৎকৃতীকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখে অগ্নিমিত্রা পলের গতি এখন পদ্মবনে। রাজনীতির যাত্রা পথে পদচারণার পর থেকে তিনি নিজের পেশার পরিবর্তে গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজনৈতিক দায়দায়িত্বকে। তিনি এখন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি। দলের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি নিজের কাজে প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন।

ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসকদলের বেশকিছু নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে তাঁকে অগ্নিবর্ষী বক্তব্য রাখতেও দেখা গেছে। এমন একজন নেত্রী নাকি হোয়াটসঅ্যাপে স্বল্পমূল্যে শাড়ি বিক্রির পোস্ট দিয়েছেন, এমন বিচিত্র কথা উঠে এলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পল নাকি মাত্র ২৮০ টাকাতে , তাকে শাড়ি বিক্রির করতে শাড়ির ছবি সহ বিজ্ঞাপন পাঠিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে।  আর এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যেতেই নানা স্থান থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে নেত্রী রাজনীতির অঙ্গন ছেড়ে আবার নিজের পুরোনো পেশাতেই ফিরে যেতে চলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই বিষয়ে জানতে তাঁর সঙ্গে ফোন যোগাযোগ করা হলে, তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েদিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “২৩ বছরের কেরিয়ারে বহু পোশাক ডিজাইন করেছি। আমার তৈরি একটা রুমালেরও হয়তো ওর চেয়ে দাম বেশি। তাই সামান্য ২৮০ টাকা দিয়ে শাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপনের আমার প্রয়োজন নেই।”

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আসলে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা করোনা আবহে মাস্ক তৈরি করে অর্থ উপার্জন করছে। তাই আমাকে দলের তরফেই বলা হয় যদি শাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে আমি তাদের ডিজাইন দিয়ে সাহায্য করতে পারি। সেক্ষেত্রে যেমন দলের একটা ইউনিফর্মও তৈরি হবে, তেমনই ওই সংস্থার হাতেও কিছু অর্থ যাবে।”

এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি তাঁকে তাদের তৈরী বেশ কিছু শাড়ি পাঠিয়েছিল স্যাম্পল হিসাবে। তিনি সেই শাড়ি গুলির ছবিই পোস্ট করেছেন হোয়াটসঅ্যাপে। শাড়িগুলির ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এগুলি কোথায় পাওয়া যাবে সেসবও উল্লেখ করেছেন পরিষ্কার করে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যের জন্যেই তাঁর এই পোস্ট, যার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোন সম্পর্ক নেই।

এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি দাবি জানিয়েছেন, যারা তাঁর নাম নিয়ে এসব মিথ্যে কথা ছড়িয়ে বিতর্কের পরিকল্পনা করছেন তাদের প্রকাশ্যে আনা হবে। আর এভাবেই পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতির রাজনীতি ছেড়ে পুনরায় পেশায় ফিরে যাবার জল্পনায় নিজেই জল ঢেলে দিলেন সভাপতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!