এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > ফের হঠকারী সিদ্ধান্ত মমতার, আদৌ কি এই কাজ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী!

ফের হঠকারী সিদ্ধান্ত মমতার, আদৌ কি এই কাজ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিরোধী নেত্রী হোক বা মুখ্যমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হঠকারী সিদ্ধান্তকে অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি একাধিক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েই। এবার আরও একটি হঠকারী সিদ্ধান্তের কথা শোনালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অন্তত তেমনটাই বলছেন বিরোধীরা। যেখানে রাজ্যপালের একাধিক সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ার কারণে প্রয়োজনে তিনি রাজভবনের সামনে ধরনা দেবেন বলে মন্তব্য করতে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। আর যে রাজ্যপাল সংবিধানের প্রধান, সেই রাজ্যপালের ভবনের বাইরে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ধরনা দেবেন! তা শুনে রীতিমত হতবাক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা কার্যত অনুচিত বলেই দাবি করছেন একাংশ। তবে এই সমস্ত কিছুর উর্ধে উঠে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিনি কোনোমতেই ধ্বংস হতে দেবেন না এবং যে পদ্ধতিতে রাজ্যপাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন, তার বিরুদ্ধে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি রাজভবনের বাইরে ধরনায় বসবেন। বিরোধীদের প্রশ্ন, কি করে এই কাজ করতে পারেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান!

অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের কাজ তো নতুন কিছু নয়। এখন তিনি সব লিমিটকে ক্রস করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ধরনায় বসার কথা বলছেন। কিন্তু এর আগে তার এক প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার কারণে তিনি ধরনায় বসে ছিলেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা বারবার যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে আইনকে লাগু করে যা ইচ্ছে তাই করার চেষ্টা করেছেন, তা স্পষ্ট। তবে রাজভবনের বাইরে তিনি যদি ধরনায় বসেন তাহলে তা এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে গোটা বিশ্বের বুকে। আর তার খেসারত যেভাবে দিতে হবে বর্তমান রাজ্য সরকারকে, তা হয়তো কল্পনা না করেই এই ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা সহ্য করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে তা অমান্য করার কথা বলে যেভাবে যেভাবে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী দিলেন, তা তো সত্যিই যেমন বেনজির, তেমনই নজিরবিহীন। যার ফলে অনেকের মনে একটাই প্রশ্ন, আদৌ কি এই কাজ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী! তবে এই প্রশ্ন উত্থাপনের বিষয়টি সরকারের ভাবনার মধ্যেও আছে কি না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!