প্রশাসনকে ডোন্ট কেয়ার, মন্ত্রীর এ কোন কীর্তি! মুখ পুড়লো মমতার! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 6, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দল অপেক্ষা প্রশাসনকেই বেশি গুরুত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকে বিধায়করা কিছু বললেও তার থেকে বেশি ডিএম, এসপিদের কথা শোনেন তিনি। স্বভাবতই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে প্রশাসন সর্বস্ব হয়ে গিয়েছেন, তার প্রশাসনকেই কিনা অমান্য করে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য! যেখানে তপন ব্লকের বিডিওর চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেল রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকে। আর এই ছবি সামনে আসার পরেই সমালোচনার বন্যা বইতে শুরু করেছে রাজ্য জুড়ে। প্রসঙ্গত, এদিন তপন ব্লকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহনের ব্যাপারে সেখানে যান রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। আশ্চর্যজনক ভাবে বিডিও সাহেবের চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে। অনেকে বলছেন, রাজ্যের মন্ত্রীরা নিজেদের নিজ নিজ জেলার মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করেন। অনেকে আবার সরকারি অফিসারদের ডোন্ট কেয়ার মনোভাব দেখান। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যে সরকারি আধিকারিকদের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে, তা ভুলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাই প্রশাসনকে অমান্য করে প্রশাসনিক আধিকারিকের চেয়ারে বসে বহাল তবিয়তে ক্যামেরার সামনে বসে রয়েছেন বিপ্লব মিত্র। বিরোধীদের কটাক্ষ, বর্তমানে রাজ্যে প্রশাসন বলে আদৌ কিছু আছে কি! যেখানে পুলিশের কাছে সুবিচার চাইতে গেলে পুলিশ তৃণমূল নেতাদের ভয়ে টেবিলের তলায় লুকিয়ে থাকে, সেখানে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মেরুদন্ড যে একেবারে ভেঙে পড়েছে, তা তো অনেকদিন আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তপনের ঘটনায় আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, সরকারি আধিকারিকরা ডিগ্রি ধারণ করেও ভোটে কারচুপি করে জেতা নেতাদের দাসত্ব করে যাবেন। আর তা না করলেই সেই নেতা, মন্ত্রীদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাদের। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনে যে দলীয় তন্ত্র কায়েম করেছেন, তার চূড়ান্ত নমুনা দেখা গেল তপনে বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এখন পারবেন তার হেভিওয়েট মন্ত্রীকে এই ঘটনার জন্য শাস্তি প্রদান করতে! সঠিক রাজধর্ম পালন করতে গেলে অবিলম্বে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে তিনি তা কতটা নিতে পারবেন, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। কারণ প্রকল্পের কাজ করতে গেলে তার কাছে প্রশাসন আগে। কিন্তু তার দলের মন্ত্রী যতই দোষ করুক না কেন, তখন প্রশাসনিক আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গৌন হয়ে যান। তবে সরকারি আধিকারিকদের চেয়ারকে অমান্য করার যে অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছে, তা প্রশাসনিক প্রধানের চেয়ারে বসে মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিলে তার ভাবমূর্তি আরও ক্ষুন্ন হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -