এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সময় নষ্টের পালা শেষ, আঁটঘাট বেঁধেই পথে নামছে ইডি! সবক শিখবে মমতা পুলিশ!

সময় নষ্টের পালা শেষ, আঁটঘাট বেঁধেই পথে নামছে ইডি! সবক শিখবে মমতা পুলিশ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুলিশ দিয়ে কি করে বিরোধীদের কাবু করতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথায় কথায় পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে বিরোধী নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার ষড়যন্ত্র শাসকদলের পক্ষ থেকে কম করা হয়নি। বারবার এই অভিযোগ ওঠে বিরোধীদের তরফে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে ধৈর্য নিয়ে কাজ করেই পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তা একাধিক ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। একাধিক বার অনেক হেভিওয়েটকে জেরা করার পর কেউ ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন, আবার কেউ বা সঠিক জবাব না দিতে পারার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন।‌ আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভবিষ্যতের আরও অনেক পদক্ষেপে রাজ্য পুলিশের যে যথেষ্ট সবক শেখার প্রয়োজন রয়েছে, তা বুঝিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন নুসরাত জাহানকে ইডির তলব নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তুলনা করেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, “ইডি তো আর রাজ্য পুলিশ নয়। রাজ্য পুলিশ হলে তো মমতা ব্যানার্জি এবং তার ভাইপোর এক ফোনেই গিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসত। কিন্তু ইডি সেটা করে না। তারা আগে ডাকে, একাধিকবার জেরা করে। জবাব দিতে পারলে তাকে ছেড়ে দেয়। আর যদি জবাবে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলেই গ্রেফতার করে।” আর শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের মধ্যে বেশকিছু সমীকরণ রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের মতে, শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের ক্ষেত্রে কার্যত আটঘাট বেঁধেই পথে নামতে চাইছে। পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়েই কাজ করে, সে কথাও স্পষ্ট করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথায় কথায় বলেন, বিজেপি নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বিরোধী দল গুলোর বিরুদ্ধে। কিন্তু বিজেপি যদি তা ব্যবহারই করতো, তাহলে একবার জেরার মুখোমুখি হয়ে অনেক তৃণমূলের নেতা-নেত্রী যারা বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন, তারা আর ফিরে যেতে পারতেন না। তাই বাড়িতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের মত বিরোধী নেতাদের হেনস্থা না করে ইডি তদন্ত তদন্তের মতো করেই পরিচালনা করবে। আর প্রকৃত দোষীরা কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে সাজা পাবেই বলে দাবি বিরোধী শিবিরের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা, বালি একাধিক বিষয়ে তৃণমূলের অনেক রাঘববোয়ালরা ফেঁসে রয়েছেন। অনেক কেই ভবিষ্যতেই ইডির মুখোমুখি পড়তে হতে পারে। ইতিমধ্যেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও তার পরিবারকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে উস্মা প্রকাশ করেছেন। ফলে তৃণমূলের মধ্যেও যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা এবং আসল তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে গোটা দল ফেঁসে যাবে, তা নিয়ে একটা ভয় রয়েছে। আর এখানেই শুভেন্দু অধিকারী নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, সত্য কখনও চাপা থাকে না। তৃণমূল মিথ্যার রাজনীতি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করে ঠিকই। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দোষী না হলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কাউকে হেনস্থা করে না। এক্ষেত্রে আইন মাফিকই কাজ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা বলে রাজ্য পুলিশকে সবক শেখানোর চেষ্টা করলেন বিরোধী দলনেতা। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!