এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার কোটি টাকার দুর্নীতি ‘ফাঁস’ করতেই, পুলিশি পাহারা নিতে হল সেক্রেটারিকে

প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার কোটি টাকার দুর্নীতি ‘ফাঁস’ করতেই, পুলিশি পাহারা নিতে হল সেক্রেটারিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে তৃণমূল সরকারের দিকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কিছুকাল আগে। এই রাজ্যের দুটি দুর্নীতি রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয়- প্রথমটি রেশনিং দুর্নীতি এবং তারপর আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি। বিরোধীরা এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ শুরু করে। দেখা যায়, সাধারণ মানুষও এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সেসময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি দুর্নীতি রোধ করার নির্দেশ দেন এবং রাজ্য জুড়ে শুরু হয় শুদ্ধিকরণ।

কিন্তু তাতে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে আগে থেকেই সন্দেহ ছিল এবং সেই সন্দেহ যে অমূলক নয় তা আবারও প্রমাণ হলো। এবার নদিয়া চাকদা ব্লকের সিলিন্দা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে দলের অন্দরেই উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান কাউকে না জানিয়ে প্রায় 90 লাখ টাকার দরপত্র নিয়ে দুর্নীতি করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের সেক্রেটারি এবং উপপ্রধান। বর্তমানে প্রধানের রোষে পড়ে ওই সেক্রেটারি সরিয়াততুল্লা আহমেদ পুলিশি প্রহরায় কাজ করছেন পঞ্চায়েতে বলে জানা গেছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিলিন্দা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রুণা বিশ্বাস, তিনিই পঞ্চায়েত প্রধান রিনা হালদারের নামে 90 লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করেন। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের পর পঞ্চায়েতের কাজের জন্য কোন দরপত্র ডাকেননি প্রধান। হঠাৎ করেই দলের অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্যদের না জানিয়ে গোপনে 90 লাখ টাকার টেন্ডার ডাকা হয়। সেক্রেটারির এই ব্যাপারটি নজরে আসতেই দরপত্র খুলে রাখেন তিনি। কিন্তু তারপরেই সেক্রেটারি সরিয়াততুল্লা আহমেদকে হুমকির মুখে পড়তে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দরপত্র নিয়ে আপত্তির জেরে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশি প্রহরায় কাজ করছেন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধান রিনা হালদার জানিয়েছেন টেন্ডার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। বরং তাঁর সেক্রেটারি এবং উপপ্রধান রুণা বিশ্বাস মিলিত ষড়যন্ত্র করে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছেন। কিন্তু উপপ্রধান রুণা বিশ্বাস জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধান রিনা হালদার বাড়িতে পঞ্চায়েতের সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে টেন্ডার করেছেন যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ না করলেও চাকদার বিডিওকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে চাকদার ভিডিও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। ওদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বিশেষ দেরি নেই। আর সে জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল দুর্নীতি দূর করতে শুদ্ধিকরণের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল শিবিরের বেশকিছু কাণ্ডকারখানা নজরে আসছে যা দলকে চাপে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট। আর এ ব্যাপারে বিরোধীরা পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার জন্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। আপাতত চাকদার সিলিন্দা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দলীয় নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সে দিকেই থাকবে নজর।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!