নাম বদলাতেই কি কপাল খুলল ভোডাফোনের? দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে মিলল সুখবর! জানুন বিস্তারিত অন্যান্য টেকনোলজি September 26, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বহুদিন থেকেই ভোডাফোনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। কর ফাঁকি দেওয়া নিয়ে আয়কর দপ্তর অভিযোগ এনেছিল এই টেলিকম সংস্থার বিরুদ্ধে। তবে সম্প্রতি প্রায় এক দশক পর সেই অভিযোগ থেকে সাপমুক্তি হল তাদের। আয়কর দপ্তরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের সালিশিতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার কর মামলায় জয় পেল ভোডাফোন গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও ভারতের আয়কর দপ্তরের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ভারতের শীর্ষ আদালত টেলিকম সংস্থার পক্ষেই রায় দিয়েছিল। কিন্তু সরকার পরবর্তীতে আইন পরিবর্তন করলে পুরনো করের টাকাও সংস্থার ঘাড়ে এসে পড়ে। এর পর ২০১৪ সালের এপ্রিলে ভোডাফোন ভারতের বিরুদ্ধে সালিশি প্রক্রিয়া শুরু করে। এই প্রসঙ্গে টেলিকম সংস্থার তরফের আইনজীবী অনুরাধা দত্ত বলেন, এই মামলায় ভোডাফোনের এটি দ্বিতীয় জয়। বস্তুত, ২০০৭ সালে ১,১০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ভারতে হাচিসন হোয়াম্পোয়ার মোবাইল ফোন ব্যবসার ৬৭% অংশীদারি কিনেছিল ভোডাফোন নামের ওই টেলিকম সংস্থা। ওই হাতবদলের ওপর কর এবং সুদ জুড়ে ওই ২০ হাজার কোটি টাকা দাবি করেছিল ভারতের আয়কর দপ্তর। এরপর পাল্টা লড়াইতে আদালতে গেছিল ভোডাফোন গোষ্ঠী। ২০১২ সালে শীর্ষ আদালত ভোডাফোনের পক্ষে রায় দেওয়ার পরই তড়িঘড়ি ২০১৪ সালে আইন বদলে ফের কেন্দ্র টাকা দাবি করতে শুরু করে। তারপর মামলার বিচার করতে ২০১৬ সালে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তৈরি করা হয়েছিল। এদিনের সেই মামলারই রায় বেরিয়েছে বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন মামলার শেষে বলা হয়, ভোডাফোন ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ২০ হাজার কোটি টাকার কর-বিরোধ মামলায় জয় পেয়েছে। ট্রাইবুনালের রায়ে তাই ভারত সরকার ভোডাফোনের কাছ থেকে আর বকেয়া পাওনার দাবি করতে পারবে না। একই সঙ্গে টেলিকম সংস্থাটির আইনি ব্যয়ের আংশিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে সংস্থাকে ৪০ কোটি টাকা দিতে হবে ভারত সরকারকে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালত এদিন বলে যে, টেলিকম সংস্থার বিরুদ্ধে সুদ ও জরিমানা-সহ ভারতীয় কর বিভাগের যে দায় আরোপ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তা নেদারল্যান্ডস এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি লঙ্ঘন করার শামিল। তবে কর-বিরোধের মূলে যে ২০ হাজার কোটি টাকা রয়েছে, এর মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা সুদ বাবদ এবং ২০০৭ সালে হাচিসন ওহ্যাম্পোয়ার কাছ থেকে ভারতীয় মোবাইল সম্পদ অধিগ্রহণের সময়কালীন ৭ হাজার কোটি টাকার জরিমানা হিসেবে দেখিয়েছিল ভারতের আয়কর দপ্তর। সরকারের তরফে এদিন অবশ্য বলা হয়, এই অধিগ্রহণের উপর কর প্রদানে টেলিকম সংস্থাটি দায়বদ্ধ ছিল। তবে এ দিনের রায় নিয়ে আপাতত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি বলেই জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -