ডিএ নিয়ে দীর্ঘ ১৭ মাসের আইনি লড়াইয়ের পরে কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দেয় যে ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনি অধিকারের মধ্যে পরে, তা কোনোমতেই দয়ার দান নয়। কিন্তু, কি হবে ডিএর হার বা বছরে কবার করে ডিএ দেওয়া হবে – এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাটকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই নির্দেশের ভিত্তিতে অন্যতম মামলাকারী সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ ইতিমধ্যেই স্যাটে এই মামলার শুনানির জন্য আবেদন করেন।

স্যাটের বিচারপতিরা সেই মামলা গ্রহণ করেন এবং এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আর সেই হলমনামা পেলে তার ভিত্তিতে পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য কনফেডারেশনের আইনজীবীকে বলেন এবং তার ভিত্তিতে আজ সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে রাজ্য সরকারের পক্ষে এই নিয়ে কোন হলফনামা জমা পড়ে নি। এমনকি, তার জন্য সরকারি আইনজীবীদের তরফে স্যাটের বিচারপতিদের কাছে অতিরিক্ত সময় ধার্য্যের জন্য কোনো আবেদনও জমা পড়ে নি। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই কনফেডারেশনের তরফেও এই নিয়ে কোন পাল্টা হলফনামা জমা পড়ার কোন প্রশ্নই ওঠে নি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, আজকের শুনানিতে রাজ্য সরকারি আইনজীবী বলেন তাঁরা হলফনামা জমা দিতে পারেননি কারণ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার ফাইল ‘মিসপ্লেসড’ হয়ে গেছে, তাই এই হলফনামা শীঘ্রই জমা করে দেওয়া হবে। কিন্তু স্যাটের বিচারপতিরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে এই মামলার মেনশনের তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে হবে এবং তার পাল্টা হলফনামা মামলাকারীরা তার এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেবে।

আর তার ভিত্তিতে মামলার যে শুনানি শুরু হবে তা তার পরবর্তী দুমাসের মধ্যে রায়দানের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে। কলকাতা হাইকোর্টের এরকমই অনুরোধ ছিল। আর তাই, রাজ্য সরকার হলফনামা জমা দিতে না পারায় নতুন করে আর কোন সময় স্যাটের তরফে দেওয়া হবে না, রাজ্য সরকার মনে করলে এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে আবেদন জানাতে পারে। আর এরপরেই স্যাটের বিচারপতিরা এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ ই নভেম্বরের দিন ধার্য্য করেন। প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের করা অপর একটি মামলায় স্যাট ইতিমধ্যেই আগামী ২২ শে নভেম্বরের দিন ধার্য্য করেছে। ফলে, সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা মামলার গতিপ্রকৃতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে দুই মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পরেই একত্রে স্যাট রায়দান করতে পারে।