কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে কলকাতায় আইন অমান্য কর্মসূচি বাতিল করলো বঙ্গ বিজেপি রাজ্য December 30, 2018 আগামী ৩ জানুয়ারি রাজ্য বিজেপি প্রস্তাবিত আইন অমান্য কর্মসূচি হচ্ছে না কোলকাতায়। বিজেপির রথযাত্রায় রাজ্যসরকারের অাপত্তি,জেলায় জেলায় আইন অমান্যে অসহযোগিতা এবং সবশেষে বসিরহাটে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ। এই সবের প্রতিবাদেই কলকাতায় আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু সে কর্মসূচিও বাতিল করতে হল। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ফোন করে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে এই কর্মসূচি আপাতত বাতিল করতে বলেন। এই কর্মসূচি বাতিলের নেপথ্যে দুটি কারণ রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে গেরুয়াশিবির সূত্রে। প্রথমত,২৯ জানুয়ারি রাজ্যে ব্রিগেড জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই একই মাসে দুটি বড় বড় দলীয় কর্মসূচি করতে চাইছে না বিজেপি। তাছাড়া ৩ জানুয়ারি রথযাত্রা সংক্রান্ত মামলার শুনানিও রয়েছে৷ সম্ভবত সেজন্যেও আইন অমান্য কর্মসূচি বাতিল করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনটাই খবর দলীয় সূত্রের। ২৯ জানুয়ারির প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড জনসভার জন্যে রাজ্যসরকারের কাছে মাঠ চেয়ে আবেদন করেছিল দিলীপ ঘোষেরা। সে আবেদনে সাড়া দিয়েছে নবান্ন। কাজেই মাঠ পেতে কোনো সমস্যা হবে না বিজেপির। পাশাপাশি দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর সভা করার জন্য ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। তাই ২৯ জানুয়ারি বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশ হচ্ছে,এতে সন্দেহ রইল না কোনো। আর সেজন্যেই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পরিকল্পিত আইন অমান্য কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি। ৩ জানুয়ারির বহু বিতর্কিত বিজেপির রথযাত্রা মামলার শুনানি নিয়েও চাপে রয়েছে মুরলিধন লেনের কর্তারা। সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়,রথযাত্রাকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সবুজ সংকেত দেয় কিনা তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়েরা। কারণ এই ইস্যুতে হাইকোর্টে বহুদিন ধরে জলঘোলা হওয়ার পরই রথযাত্রার নিশ্চয়তা পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি। তাই এই চাপের মধ্যে নতুন করে জটিলতা বাড়াতে চায় না বিজেপি। গতকাল সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপি সভাপতির কাছে ফোন আসে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-র৷ সূত্রের খবর,দিলীপ ঘোষকে তিনি জানিয়েছেন,৩ জানুয়ারি কোলকাতায় বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যদি কোনে ঝামেলা হয় বা কোনো উত্ত্যক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বসিরহাটের মতো তাহলে রাজ্যসরকার সুযোগ পেয়ে যাবে বিজেপির দিকে ফের অভিযোগের আঙুল তোলার। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কোর্টে ইস্যুও করে ফেলতে পারে। তাই এই মুহূর্তে খুব সাবধানে পা ফেলাটাই বাঞ্ছনীয়। আর সেজন্যে ৩ জানুয়ারি আইন অমান্য কর্মসূচি এড়িয়ে চলাটাই সবথেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরামর্শ মতোই কোলকাতার আইন অমান্য কর্মসূচি বাতিল করে দিলেন দিলীপ ঘোষ। তবে জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি মেনেই আইন অমান্য আন্দোলন হবে বলেই জানা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবরে। আপনার মতামত জানান -