প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মাঝেমধ্যেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, বিজেপি নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দল ভাঙ্গানোর কাজ শুরু করেছে। এক্ষেত্রে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি থেকে সবথেকে বেশি এই অভিযোগ সামনের দিকে আসতে শুরু করে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ করে সরব হলেন জম্মু-কাশ্মীরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা।

জানা যায়, এদিন বিজেপি এবং তাদের বি টিম নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ঘোড়া কেনাবেচা শুরু করেছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন এই হেভিওয়েট নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই দাবিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জম্মু কাশ্মীরের রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হওয়ার কারণে তিনি কাশ্মীর বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরেই ওমর আব্দুল্লাহ ধরনের মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে প্রভাব খাটানো শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। হয় প্রলোভন, নয় চাপ সৃষ্টি করে বিরোধী দলের প্রার্থীদের নিজেদের দিকে এনে ক্ষমতা দেখানো স্বপ্ন দেখছে তারা। এক প্রার্থীর আত্মীয়কে গ্রেফতার করে বলা হয়েছিল, যদি আপনি পার্টিতে যোগ দেন, তবে মুক্তি পাবেন ওই আত্মীয়। এভাবে গণতন্ত্রকে অপমান করা হচ্ছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তা করা হচ্ছে।”

একাংশ বলছেন, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ করা হয়েছিল। আর এবার জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় প্রভাব খাটিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তোলায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। তবে ওমর আবদুল্লা বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করলেও তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “গণতন্ত্রের বিপন্নতা নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা দেওয়া অর্থহীন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও পুদুচেরি পৌরসভা নির্বাচন আয়োজন করেনি। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার মাত্র এক বছরের মধ্যে আমরা কাশ্মীরে নির্বাচন করিয়েছি।” অর্থাৎ এক্ষেত্রে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিরোধী শক্তিকে অবদমিত করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের জেলা পরিষদের নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।‌কিন্তু শেষপর্যন্ত একক বৃহত্তম দল হলেও, কার্যত গুপকার জোটের কাছে হার মেনে নিতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে যেভাবে ওমর আব্দুল্লা ঘোড়া কেনাবেচা অভিযোগ করলেন, তাতে বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়ল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।