এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অতীত থেকে শিক্ষা, তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের ব্যবহার করা নিয়ে আগামীকালই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, বিজেপির বৈঠক ঘিরে জল্পনা!

অতীত থেকে শিক্ষা, তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের ব্যবহার করা নিয়ে আগামীকালই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, বিজেপির বৈঠক ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  লক্ষ্য নিয়েও বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। আশা করেছিল, 200 আসন দখল করে তারা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে। কিন্তু 77 টি আসন দখল করে বিজেপির বিজয়রথ থমকে গিয়েছে। আর তারপরেই কেন এই পরাজয় হল, কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দলকে প্রতিষ্ঠা করা গেল না সাধারন মানুষের মনে, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। কেউ কেউ দাবি করেছেন, অন্য দল থেকে আসা নেতাদের সাদরে গ্রহণ করা এবং তাদের রাতারাতি প্রার্থী করে দেওয়ার জন্যই অনেক আসনে পরাজিত হয়েছে।

অনেকে আবার দাবি করেছেন, যারা দলের দায়িত্বে ছিলেন, তারা গোপনে গোপনে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে নিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই এই ভরাডুবি। আর এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল ভোটে ভরাডুবির পর বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হতে চলেছে বলে খবর। আর সেই বৈঠকেই এই বিষয়টি তুলে ধরা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেদিক থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নিজেদের বেশ কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে পারে রাজ্য নেতৃত্ব বলেও তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

সূত্রের খবর, আগামীকাল বিজেপির হাইপ্রোফাইল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পাশাপাশি রাজ্য স্তরের নেতাদেরও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। আর সেই বৈঠকেই তৃণমূল থেকে যারা বর্তমানে বিজেপিতে এসেছেন, তাদের কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়টি আলোচনা হতে পারে। কেননা ইতিমধ্যেই প্রায় চার বছর আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। আর তার পথ ধরেই আরও অনেক হেভিওয়েট ঘাসফুল শিবিরে সামিল হতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেদিক থেকে দলে ভাঙন আটকাতে আগামীকালের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা হতে পারে বলে খবর। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্তর থেকে রাজ্যস্তরের ক্ষেত্রে যে সমস্ত নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে এবং প্রতি মুহূর্তে শাসন করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও নিজেদের মতামত পেশ করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে তারা নিজেদের মত করে সংগঠন পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে অনুমতি নিতে পারে বলেও দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচনের আগে রাতারাতি অন্য দল থেকে আসা নেতাদের গ্রহণ করা যে ঠিক হয়নি, তা এখন বুঝতে শুরু করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। মুকুল রায় দলবদল করার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তাকে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেদিক থেকে রাজীববাবু কি করেন, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়।

আর এই সমস্ত কিছুর মাঝেই আগামীকালের বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজ্যস্তরের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্তরের সর্বভারতীয় সভাপতির এই বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় উঠে আসতে পারে। পাশাপাশি পরবর্তী রণনীতি কিভাবে সাজানো হবে এবং কোন কোন নেতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে, সেই নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সব মিলিয়ে ফলাফল প্রকাশে ভরাডুবির পর আগামীকাল বিজেপির বৈঠক থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকালে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!