এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যে তৈরি হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ক্যাম্প, অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের!

রাজ্যে তৈরি হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ক্যাম্প, অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বাংলায় ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই হিংসার ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যাকে হাতিয়ার করে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধীদল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তবে তা সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি হাইকোর্টের দরজায় পৌছতেই রাজ্য সরকার বাড়িয়ে দেয় আদালত। যেখানে মানবাধিকার কমিশনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না, তা নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করা হয়।

আর এই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্যে আসলে তাদেরকে যেন রাজ্য সরকার সাহায্য করে, সেই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে। ইতিমধ্যেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি টিম রাজ্য পরিদর্শন করেছে। আর এরমাঝেই ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর যে সমস্ত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য দরজা খুলে দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যার ফলে রাজ্য সরকারের চাপ অনেকটাই বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, রবিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যেখানে সোমবার ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর যারা হিংসার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের কথা শুনতে বিশেষ শুনানির আয়োজন করা হবে বলে জানিয়ে দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই কমিশনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছে বিরোধী দল থেকে শুরু করে আক্রান্ত মানুষজন। এদিন এই প্রসঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে জানানো হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান স্বয়ং এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। সরাসরি আক্রান্তরা তাকে নিজেদের অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে সিআরপিএফ স্টাফ মেসে এই শুনানির আয়োজন করা হয়েছে। একাংশ বলছেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে এই শুনানির আয়োজন করা হলে আক্রান্ত মানুষজন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন। সেদিক থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট সরাসরি জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে। তাই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যদি মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো রিপোর্ট জমা পড়ে, আর তা যদি দেশের শীর্ষ আদালতে পৌঁছে যায়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের চাপ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানোর সঠিক কোনো উপায় থাকে না সাধারণ মানুষের কাছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এবং শাসকদলের চোখরাঙানি থাকে বলেও অভিযোগ করা হয়। সেদিক থেকে ভোটের ফলাফলের পর রাজ্যে হিংসার ঘটনা বাড়তে থাকলেও, সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর কোনো জায়গা ছিল না।

তবে এবার আক্রান্ত মানুষদের সুবিধার্থে সরাসরি রাজ্যে ক্যাম্প করে শুনানি করার কথা জানিয়ে দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। যার ফলে সাধারণ মানুষ যেমন খোলামেলা গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারবে, ঠিক তেমনই রাজ্যের হিংসার ঘটনাও মানবাধিকার কমিশনের এই উদ্যোগের ফলে অনেকটাই কমে আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!