‘বিজেপির ক্যাডার’ মন্তব্যে প্রতিবাদ, ব্রাত্যকে পরামর্শ সায়ন্তনের! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 25, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বদলির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষিকাদের একাংশ। পরবর্তীতে পুলিশের বাধা পেয়ে তাদের প্রতিবাদ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যেখানে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে না পেরে প্রতিবাদ জানিয়ে পাঁচ শিক্ষিকা প্রকাশ্যে বিষপান করেন। এদিকে এই ঘটনার পরেই একটি ফেসবুক পোস্ট করে এই সমস্ত শিক্ষিকারা বিজেপির ক্যাডার বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর তারপরেই তার এই ধরনের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আর এবার গোটা ঘটনায় পাল্টা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সায়ন্তন বসু। সূত্রের খবর, আজ এই ব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, “ত্রিপুরা যাওয়ার সময় আছে, প্রেস কনফারেন্স করার সময় আছে, কিন্তু শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করার সময় নেই। তাদের দাবি-দাওয়া শোনার সময় নেই। আমি বরঞ্চ বলব, ত্রিপুরা যাওয়া কমিয়ে একটু শিক্ষিকাদের এই সমস্ত দাবির দিকে নজর দিন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বলা বাহুল্য, তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় সংগঠন গড়তে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ওপর। মাঝেমধ্যেই ত্রিপুরা গিয়ে সংগঠন চাঙ্গা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ব্রাত্যবাবু। স্বাভাবিকভাবেই সেই তিনি যখন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিকাদের আন্দোলন নিয়ে তাদের বিজেপির ক্যাডার বলে আখ্যায়িত করেছেন, তখন সাথে সাথেই সেই ব্রাত্য বসুর ত্রিপুরা সফর নিয়ে কটাক্ষ করে তাকে চাপের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্য বিজেপির সায়ন্তন বসু বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশের মতে, ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি। শিক্ষিকাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। যেখানে রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক কাজকর্মের কথা তুলে ধরেন তিনি। আর তারপরেই এক জায়গায় ব্রাত্য বসু লেখেন, “এরপরেও যারা আন্দোলন করছেন, তারা বিজেপির ক্যাডার।” স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলন কারীদের কেন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত করে দিলেন, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয় প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে সেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে নয়া পরামর্শ দিয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সায়ন্তন বসু বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -