খনি অঞ্চলের উন্নয়নে বাধা বিজেপি-সিপিএম – বিস্ফোরক অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য December 1, 2018 শান্ত বাংলাতে অশান্ত করতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে বিরোধী দলগুলো- দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার রাজ্যের উন্নয়নেও সেই বিরোধী দল বিজেপি এবং সিপিএম সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ঠিক কী ব্যাপারে এহেন অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী? সূত্রের খবর, গতকাল জামুরিয়া এবং দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যের খনি অঞ্চলে বাসিন্দাদের আবাসন তৈরীর কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে সিপিএম এবং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রবল তোপ লাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসানসোলকে নতুন জেলা হিসেবে ঘোষণা করার দিনই এখানে 45,000 আবাসন তৈরির কথা ঘোষনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যায়, জামুরিয়া, বিজয়নগর, সালানপুর এবং বারাবনি এলাকায় প্রবল ধ্বংসের জেরে এখানকার মানুষ আতঙ্কে থাকেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই আবাসন তৈরি প্রকল্প ঘোষণার পরই এখানে জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। কিন্তু ইসিএলের পক্ষ থেকে জমি না দেওয়ায় সেই কাজের গতি বেশ কিছুটা ধাক্কা খায়। ইসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, মাটির নিচে কয়লা থাকার জন্যই তারা এখানে কোনোরূপ জমি দিতে পারবে না। অন্যদিকে জামুড়িয়ার বিজয়নগর, দাসকেয়ারি, অন্ডাল ও সালানপুরের নমোকেশিয়াতে এই আবাসন তৈরির কাজে বাসিন্দাদের কাছ থেকে জমি চাওয়া হলে বাসিন্দারা তা না দেওয়ার দাবিতে প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলেন। আর এতে শাসকদলের কিছু কর্মীদের ওপরও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। যার ফলে শিকেয় ওঠেছে এখানকার আবাসন তৈরির কাজ। আর গতকাল জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে বিরোধীদল সিপিএম এবং বিজেপি সহ ইসিএলের বিরুদ্ধেও প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ধ্বসের জন্য এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। তাই আমরা এখানে আবাসন তৈরীর কাজ শুরু করেছি। আপনারা কেউ সিপিএম এবং বিজেপির কথা শুনবেন না।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে এই বৈঠকে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এই ব্যাপারে ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলে সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওদের জন্যই তো এসব হচ্ছে। ওরা না নিজেরা করছে, না আমাদের করতে দিচ্ছে। ওদের এলাকা থেকে রোগ ছড়াবে এটা ঠিক নয়।” সব মিলিয়ে খনি অঞ্চলের উন্নয়নে বিরোধীদের বাধার অভিযোগে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপনার মতামত জানান -