কোন কোন ওসি বা আইসিরা বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সেই তালিকা আছে: মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য December 1, 2018 ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারে বারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বালি পাচার রুখতে প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু প্রশাসনিক প্রধানের এই নির্দেশ যে জেলার প্রশাসনিক কর্তারা ক্ষনস্থায়ী হিসেবেই গ্রহণ করেন তা ভালোই উপলব্ধি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাইতো এবার পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানকে নিয়ে এক প্রশাসনিক বৈঠকে দুই জেলার পুলিশকর্তাদের উপর নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, গত কাল দুর্গাপুরে দুই বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ওই বৈঠক থেকে বালি পাচারের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্ক বার্তা দেন তিনি। পাশাপাশি এই অবৈধ বালি পাচার রুখতে প্রশাসনের একাংশ যে দায়ী এদিন সেই কথাও উল্লেখ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অবৈধ কারবারে যুক্ত থেকে কিছু লোক করে খাচ্ছে। যার জেরে সরকারের কাছে রাজস্ব আসছে না। পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিলে এই ভাবে বালি পাচার কখনোই চলতে পারে না। পুলিশ এসব মদত দিচ্ছে বলেই হচ্ছে।” পাশাপাশি কয়লা মাফিয়াদেব টাকা যে দিল্লী পর্যন্ত পৌছচ্ছে এদিন সেই কথা উল্লেখ করে আসানসোল পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশ্যে কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই সেই আসানসোলের পুলিশ কমিশনার লক্ষীনারায়ন মিনা বলেন, “ম্যাডাম আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।” আর পুলিশ কমিশনারের মুখ থেকে এহেন কথা শুনে আরও রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। সাথে সাথেই তিনি বলেন, “অ্যাকশন নিয়েছি, ওদের খুঁজে পাচ্ছি না- এ তো আপনাদের রুটিং কথা। যখন বলা হয় তখন লোক দেখানো ভাবে আপনারা অভিযান করেন। তারপর আবার আগের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এইভাবে হবে না। আমরা অ্যাকশন চাই।” পাশাপাশি এই বালি পাচারের সাথে যদি কোনো থানার আইসি বা ওসি যুক্ত থাকে তাহলে তাদেরও বদলি করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে বালিঘাট, অজয় ও দামোদর থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের এই বৈঠকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই পঁয়ত্রিশটি ঘাটের টেন্ডার করেছি।” সাথে সাথে এখানকার জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “100% ঘাটে কেন টেন্ডার করা সম্ভব হয়নি? কোন কোন এলাকা থেকে বালি পাচার হচ্ছে সেই সব খবর আমার কাছে আছে। কিছু লোককে এইভাবে পকেটে ভরাতে দেওয়া যাবে না।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনেই লোকসভা ভোট। আর এই লোকসভা ভোটের আগে দুই বর্ধমান জেলায় যাতে অবৈধ বালি পাচার নিয়ে বিরোধীরা প্রশাসনকে চাপে ফেলতে না পারে সেই কারণেই এদিন আগেভাগেই জেলা প্রশাসনকে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আপনার মতামত জানান -