এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাম-বিজেপির মিলিত শক্তির কম আসন নিয়েও জোর করে বোর্ড গঠনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বাম-বিজেপির মিলিত শক্তির কম আসন নিয়েও জোর করে বোর্ড গঠনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের পরই ঠিক কোন দল জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড দখল করবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তীব্র টানাপোড়েন চলছিল। কিন্তু অবশেষে ত্রিশঙ্কু এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা নিজেদের হাতেই ধরে রাখল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আর যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল সেই এলাকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 21 আসন বিশিষ্ট এই জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতিতে এবারে তৃণমূল নটি, বিজেপি নটি, সিপিএম একটি, ফরওয়ার্ড ব্লক একটি এবং কংগ্রেস একটি আসন পায়। এদিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই তীব্র জল্পনা শুরু হয় যে, ঠিক কোন দল এই ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করবে?

গন্ডগোল হতে পারে এই আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণ দেখিয়ে সেই বোর্ড গঠন কিছুদিন স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু অবশেষে বৃহস্পতিবার আঁটোসাঁটো পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সেই জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।

জানা যায়, এদিন শাসক দল তৃণমূলকে সমর্থন করেন কংগ্রেসের জয়ী সদস্য। আর এরপরই তৃনমূলের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের বিন্দুবালা কর্মকারকে সভাপতি এবং পিঙ্কি রাজোয়াড়কে সহকারি সভাপতি করা হয়। আর যে ঘটনায় ইতিমধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে শাসক দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন বোর্ড গঠনের জন্য সকাল থেকেই সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির সকল সদস্য উপস্থিত হন। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে ওপেন ভোট করতে বলা হলেও তিনি তাতে রাজি হননি। অবশেষে প্রিসাইডিং অফিসারের তরফে গোপন ব্যালটে ভোট করার কথা বলে বিজেপির পক্ষ থেকে তাতে সম্মতি দেওয়া হয়।

কিন্তু পরবর্তীতে সেই প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ব্যালটেই ভোট হবে। তবে তা তার হাতে দিতে হবে। আর এতেই তীব্র ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিজেপি সদস্যরা। আর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার সময়ই পুলিশ ফোর্স ডেকে বিরোধীদের মারধোর করার পাশাপাশি তাঁদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে বিজেপির পাশাপাশি সেই একই অভিযোগ তোলেন বিজেপিকে সমর্থনকারী সিপিএমের বৈকুণ্ঠ কুমার এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের অনীতা মাহাতোরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিন সিংদেও বলেন, “দলীয় সদস্যদের মারধর করা ও ভোটে কারচুপি করার অভিযোগ জানিয়ে আমরা কোর্টে যাব।” অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য বিজেপির এই সমস্ত অভিযোগকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, “নিয়ম মেনেই বোর্ড গঠন হয়েছে। বিজেপি সদস্যরাই প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর করেছে। আমরা সেই ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”

অন্যদিকে এই জয়কে নৈতিকতার জয় বলে অভিযোগ করেছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালি। এদিকে জেলা প্রশাসন বনাম বিজেপির এহেন দ্বন্দ্বের মাঝে অনেকের মনে একটাই প্রশ্ন যে কংগ্রেসের সদস্য কেনই বা হঠাৎ তৃণমূলকে সমর্থন করলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সদস্য তথা জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিন্দুবালা কর্মকার বলেন, “এলাকার উন্নয়নের মানুষের সেবা করতেই তৃণমূলকে সমর্থন করেছি।” সব মিলিয়ে এবার দীর্ঘদিন পর বোর্ড গঠন হলেও জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!